কম্বোডিয়ার সাথে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায়নি থাইল্যান্ড, হামলা চলবে: থাই প্রধানমন্ত্রী

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুল দাবি করেছেন, তার দেশ কম্বোডিয়ার সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছায়নি ফলে থাই সেনাবাহিনী বিতর্কিত সীমান্তে লড়াই চালিয়ে যাবে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।এর আগে, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম, যিনি দুই দেশের মধ্যে শান্তি আলোচনায় একজন গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী ছিলেন, তিনি বলেছেন, শনিবার সন্ধ্যা থেকে দুই দেশের শত্রুতা বন্ধ করা উচিত।এছাড়া শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি প্রতিবেশী কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। তবে, ট্রাম্পের দাবির বিষয়ে কম্বোডিয়া কোনো মন্তব্য করেনি। আরও পড়ুন:মিয়ানমারে হাসপাতালে হামলা / সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার হত, দাবি সেনাবাহিনীরএদিকে, থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সুরসান্ত কংসিরি বলেছেন, শনিবার চং আন মা এলাকায় তাদের চার সৈন্য নিহত হয়েছেন, যার ফলে সোমবার থেকে শুরু হওয়া লড়াইয়ে অন্তত ১৪ জন সৈন্য নিহত হলেন। কম্বোডিয়ার কর্তৃপক্ষ সাম্প্রতিক এই হামলায় কোনো হতাহতের খবর দেয়নি। অন্যদিকে, ছয় দিনের নতুন করে সংঘাতে উভয় দেশেই এখন ২০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ৮০০ কিলোমিটার (৫০০ মাইল) দীর্ঘ থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তের উভয় পাশে আনুমানিক ৬,০০,০০০ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, যেখানে শতাব্দী প্রাচীন মন্দিরগুলোর মালিকানা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। শনিবার সকালে একটি ফেসবুক পোস্টে আনুতিন বলেন, ‘আমাদের ভূমি এবং জনগণের জন্য আর কোনো ক্ষতি এবং হুমকি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত থাইল্যান্ড সামরিক পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে। আমি এটা স্পষ্ট করে বলতে চাই।’কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদের ভূখণ্ডে বোমা ফেলা অব্যাহত রাখার অভিযোগ করার কয়েক ঘন্টা পরেই থাই নেতার এই ঘোষণা এসেছে।  সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখে, থাই সেনাবাহিনী দুটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে সাতটি বোমা ফেলেছে।  আরও পড়ুন:ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও থাইল্যান্ড বোমাবর্ষণ করছে, অভিযোগ কম্বোডিয়ার  অক্টোবরে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তি সোমবার ভেঙে যাওয়ার পর শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় প্রতিবেশীদের মধ্যে ছয় দিনের লড়াই চলে।