সুদানের হাসপাতালে সেনা কর্মকর্তা খালেকুজ্জামান, উৎকণ্ঠায় স্বজনরা

উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন সুদানে শান্তিরক্ষী মিশনে সন্ত্রাসী হামলায় আহত লেফটেন্যান্ট কর্নেল খালেকুজ্জামানের পরিবার। তার বাড়ি কুষ্টিয়া শহরের ঈদগাহ্ পাড়ায়।চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে শান্তিরক্ষা মিশনে সুদানে যোগদান করেন তিনি। বগুড়া ক্যান্টনমেন্টে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার (সিও) ছিলেন। আইএসপিআর ছবি প্রকাশের পর তার পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পারেন। এ ঘটনার পর থেকে তার পরিবারের সদস্যরা উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। আহত সেনা কর্মকর্তা খালেকুজ্জামানের বড় বোন শামীমা মুঠোফোনে বলেন, স্পিন্টারে খালেকুজ্জামানের বাঁ হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে তার অবস্থা গুরুতর নয়। ঘটনার পর পরই হেলিকপ্টারযোগে আবি শহরের হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। পরিবারের সাথে তার নিয়মিত যোগাযোগও রয়েছে বলে জানান তিনি। আরও পড়ুন: মাত্র দেড় মাস আগে শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দিয়েছিলেন সুদানে আহত সেনাসদস্য চুমকি পরিবার সূত্রে জানা গেছে, খালেকুজ্জামান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তার বাবা মৃত: খন্দকার আক্তারুজ্জামান। পরিবারের সবাই বগুড়া ক্যান্টনমেন্টে বসবাস করেন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেল চারটার দিকে ঈদগাহ্ পাড়ার খালেকুজ্জামানের বাড়িতে গিয়ে মূল গেটে তালাবন্ধ দেখা যায়। এ সময় বাড়ির পাশেই বসবাসরত চাচা ও খালাতো বোনের কাছ থেকে জানা যায়, খালেকুজ্জামানের মা শহরের গোশালা রোডে থাকেন। তবে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে চাননি। তিনি জানতে পেরেছেন তার ছেলে আহত হয়েছেন। আহত খালেকুজ্জামানের খালাতো বোন গুলশান আরা হাসান বলেন, আমাদের সামনে কোলে পিঠে মানুষ হইছে খালেকুজ্জামান। খুব ভালো ছেলে। শুনেছি শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়ে হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে। দোয়া করি ও যেন দ্রুত সুস্থ হয় ওঠে। আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় যুবককে গুলি ও কুপিয়ে জখম এ সময় কথা হয় চাচা খন্দকার আসাদুজ্জামান খোকনের সাথে। তিনি অশ্রুসিক্ত অবস্থায় বলেন, খালেকুজ্জামান আমার মেজো ভাইয়ের ছেলে। শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়েছে। সেখানে সন্ত্রাসী হামলায় তার কয়েকজন সহকর্মী নিহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। সেও গুলিবিদ্ধ হয়েছে।