ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রীতি ম্যাচে আগামীকাল (১৬ ডিসেম্বর) মাঠে নামছে নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন দুটো দল। জাতীয় দল বা এর আশেপাশে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে এই ম্যাচের দল দুই সাজানো হয়েছে৷ ম্যাচটি আয়োজিত হচ্ছে অসহায় ক্রিকেটারদের সাহায্যের জন্য ফান্ড তোলার কাজে।প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আগেই জানানো হয়েছিল, এই ম্যাচ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনটা অন্য সব সংবাদ সম্মেলনের মতো হবে না। দুই অধিনায়ক এবং কোচ প্রেস বক্সে আসবেন সাংবাদিকদের সঙ্গে আড্ডা দিতে। সংবাদ সম্মেলনটাও তাই আড্ডার ধাঁচেই হয়েছে। হাস্যরসের ছলে ম্যাচ নিয়ে নিজেদের ভাবনা প্রকাশ করেছেন কোচ-অধিনায়করা। সবচেয়ে বেশি প্রাণবন্ত এবং ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন টেস্ট অধিনায়ক শান্ত। ম্যাচ নিয়ে তার প্রতিটি বক্তব্যের মধ্যেই ছিল হাস্যরস। বিশেষ ম্যাচ নিয়ে উন্মাদনা এবং লক্ষ্যের কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘খুবই এক্সাইটেড। এরকম ম্যাচ খেলার সুযোগ আগে হয়নি। কোনো ছাড়াছাড়ি হবে না, শোয়াই ফেলব একদম।’ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়ে শান্তর উত্তরটা ছিল আরও হাস্যরসাত্মক। জানান, লড়াইটা এখন পর্যন্ত কেবল কথার লড়াইয়ের পর্যায়েই রয়েছে, ‘প্রস্তুতি মাঠে দেখতে পাবেন না। সব প্রস্তুতি মুখে মুখে হচ্ছে। মাঠে শোয়াই ফেলতে পারি, না হলে শুয়েও যাইতে পারি। যেকোনো কিছুই হতে পারে।’আরও পড়ুন: নেপালের বিপক্ষে টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশের যুবারামেহেদী মিরাজের দলের অন্যতম খেলোয়াড় মোহাম্মদ মিঠুন। তিনি কোয়াবের বর্তমান সভাপতি। আর সেটা নিয়ে ঠাট্টা করতেও ছাড় দেননি শান্ত, ‘বেশি হুঙ্কার দেয়া যাবে না। কারণ ওইটা কমিটির দল। ওদের সঙ্গে পারব না। যতটুকু নিরাপদে থেকে করা যায়।’এই হাস্যরসে শান্ত আরও যোগ করেন, ‘একটু ভয়েই আছি। শুনলাম আমাদের দলের পাঁচজন খেলতে পারবে না। এখন সন্দেহ হচ্ছে যে ফোন-টোন করে হুমকি খেয়েছে নাকি তারা!’হাসি-ঠাট্টার বাইরে গিয়ে ম্যাচের উদ্দেশ্য নিয়ে শান্ত বলেন, ‘যারা কোয়াবে আছে এবং আশেপাশে যারা সাহায্য করছেন এটা একটা খুবই ভালো উদ্যোগ। আমার মনে হয় এটা এ বছর খুব তাড়াহুড়োর মধ্যেই হচ্ছে। এটা যদি আমরা ধারাবাহিকভাবে করতে পারি আমাদের বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অনেক উপকৃত হবে সবাই। পুরো এই ম্যাচটা খেলার কারণই কিন্তু যে ফান্ডের কথাটা আমরা বারবারই বলছি। এখান থেকে একটা ফান্ড উঠলে, এটা আমরা ভবিষ্যতে ক্রিকেটারদেরকেই সাহায্য করতে পারবো। এই উদ্দেশ্যটা নিয়েই কিন্তু এই খেলার আয়োজন।’