শীতকালে শসা খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী হলেও কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। শশা এমন একটি জিনিস যা সালাদ হিসেবে কিংবা সবজি হিসেবেও খাওয়া যেতে পারে। আবার অনেকে ওজন কমাতেও শশার সাহায্য নিয়ে থাকে।জেনে নিন শীতকালে শসার উপকারিতা-১. শরীর হাইড্রেটেড রাখে: শশায় প্রায় ৯৫% পানি থাকে, যা শীতকালের শুষ্ক আবহাওয়ায় শরীরকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।২. ত্বকের যত্নে সহায়ক: শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। শসার ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বককে ময়েশ্চারাইজড রাখতে এবং উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।হজমে সহায়তা করে৩. কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা: শসায় ফাইবার রয়েছে, যা শীতকালে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সহায়ক। আরও পড়ুন: যে ১০ কারণে সকালে পান করবেন কুসুম গরম পানি ৪. ওজন কমাতে সহায়ক: শসা কম ক্যালোরিযুক্ত এবং বেশি জলীয় হওয়ায় ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। শীতকালে সক্রিয়তা কম থাকলেও এটি শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।৫. ইমিউনিটি শক্তিশালী করে: শসার ভিটামিন এবং মিনারেলস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যা শীতকালীন সর্দি-কাশি প্রতিরোধে সহায়তা করে। আরও পড়ুন: খালি পেটে মেথি ভেজানো পানি খেলে কী হয়?সতর্কতা- ১. শীতল প্রকৃতির কারণে অতিরিক্ত না খাওয়া ভালো২. শসার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ঠান্ডা, যা শীতকালে শরীরকে ঠান্ডা করে দিতে পারে। বিশেষ করে ঠান্ডা-জনিত সমস্যায় ভুগলে অতিরিক্ত শসা এড়িয়ে চলা উচিত।৩. সঠিক পরিমাণে খাওয়া ভালো। দিনে ১-২টি শসা খাওয়া যথেষ্ট। অতিরিক্ত শসা খেলে গ্যাস্ট্রিক বা হজমের সমস্যা হতে পারে।শীতকালে রাতে শসা খেলে শরীর আরও ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে এবং হজমেও সমস্যা হতে পারে।শীতকালে শসা খাওয়া ভালো, তবে এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত এবং গরম খাবারের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখা প্রয়োজন। যদি ঠান্ডা লাগার ঝুঁকি থাকে, তবে শসা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।