সিরিয়ায় তিন মার্কিন নাগরিককে হত্যাকারী নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্য ছিলেন, যাকে চরমপন্থার জন্য বরখাস্ত করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এটি জানায় মন্ত্রণালয়।শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সিরিয়ার মধ্য পালমিরা অঞ্চলে মার্কিন-সিরিয়া যৌথ বাহিনীর মহড়ার সময় হামলাটি চালানো হয়।শনিবার সিরিয়ার সরকার এই হামলাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসাবে বর্ণনা করেছে। হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং একজন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ওয়াশিংটন জানিয়েছে, দায়েশের একজন ‘জঙ্গি’ হামলাটি চালিয়েছে। আরও পড়ুন:সিরিয়া-মার্কিন যৌথ টহল দলের উপর হামলা: রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নুরদ্দীন আল-বাবা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ চরমপন্থী ধারণা পোষণের জন্য হামলার আগেই তাকে নিরাপত্তা বাহিনী থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।রোববার একজন সিরিয়ান নিরাপত্তা কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন যে হামলার পর সাধারণ নিরাপত্তা বাহিনীর ১১ জন সদস্যকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা বলেন, বন্দুকধারী ১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে যুক্ত ছিলেন এবং পালমিরায় স্থানান্তরিত করার আগে তাকে বেশ কয়েকটি শহরে পাঠানো হয়েছিল। গত বছরের ডিসেম্বরে দীর্ঘকালীন সিরিয়ার শাসক বাশার আল-আসাদের ক্ষমতাচ্যুতির পর এই ধরনের ঘটনা এটিই প্রথম। শনিবারের হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প কঠোর প্রতিশোধ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়া-আমেরিকান যৌথ প্রতিনিধিদল প্রথমে পালমিরা শহর পরিদর্শন করে, তারপর পালমিরার একটি ঘাঁটিতে ফিরে আসার আগে টি-৪ বিমানঘাঁটিতে যায়। আরও পড়ুন:সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২ মার্কিন সেনা নিহত, প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পেরএদকে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সিরিয়ান সামরিক কর্মকর্তা শনিবার বলেছেন যে পালমিরার একটি ঘাঁটিতে সিরীয় ও আমেরিকান কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠকের সময় গুলি চালানো হয়। সূত্র: জিও নিউজ