আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় দিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের এবারের আসর শুরু করে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালকে হেসেখেলে হারায় যুবা টাইগাররা। টানা দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করতে নেমে সবুজ, শাহরিয়ার, তামিমদের বোলিং তোপে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে নেপালের ব্যাটিং অর্ডার। ৩১.১ ওভারে মাত্র ১৩০ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। ৩.১ বলে স্কোরবোর্ডে তখন ২৮ রান, অভিষেক তিওয়ারির বলে নিশ্চল কেসারির হাতে ক্যাচ দিয়ে রিফাত বেগ সাজঘরে ফিরলে ভাঙে তাদের উদ্বোধনী জুটি। আরও পড়ুন: কামিন্স-স্টার্কদের প্রজন্ম অস্ট্রেলিয়ার সর্বকালের সেরা: ব্রেট লি অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম উইকেটে টিকতে পেরেছিলেন মাত্র ১ বল। নিজের প্রথম বলেই ১ রান করে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর কালাম সিদ্দিকীকে নিয়ে বড় জুটি গড়েন জাওয়াদ আবরার। তৃতীয় উইকেটে ১১৫ বলে ৯২ রানের বড় জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। দলীয় ১২১ রানের মাথায় কালাম সিদ্দিকী ফিরলে ভাঙে এই জুটি। ৬৬ বলে ৩৪ রান করে ইয়ুভরাজ খাতরির বলে অভিষেক তিওয়ারির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কালাম সিদ্দিকী। এরপর রিজান হাসানকে সাথে নিয়ে জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন জাওয়াদ আবরার। ৬৮ বলে ৭০ রানের হার না মানা ইনিংসে ২৪.৫ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। আরও পড়ুন: সিডনির হামলার পর অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের শোক এর আগে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায় নেপাল। উদ্বোধনী জুটিতেই স্কোরবোর্ডে ৪০ রান যোগ করেন দুই ওপেনার সাহিল প্যাটেল ও নিরাজ কুমার। সেখান থেকেই একের পর এক উইকেট হারিয়ে ৮১ রানে ৬ উইকেট হারায় তারা। এরপর আর বেশিদূর এগোতে পারেনি নেপাল। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন অভিষেক। পাশাপাশি ২৩ রান করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার অশোক ধামি। আর কেউই বিশ রানের কোটা পাড় করতে পারেননি। বাংলাদেশের হয়ে মোহাম্মদ সবুজ নেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন শাহরিয়ার আহমেদ ও আজুজুল হাকিম। একটি উইকেট পেয়েছেন শাহরিয়ার আল আমিন।