সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে এক পাইকারি মুদি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তৌকির আহমেদ স্বপনসহ (৩৯) চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কিবরিয়া জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ভুক্তভোগী মুদি ব্যবসায়ী আসাদুল ইসলামের বাবা নূরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। এতে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয়ে আরও ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানান ওসি। এর আগে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার ধানগড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ৪ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এতে উপজেলার আঞ্চলিক সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়। পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় তারা। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- একই উপজেলার ধানগড়া উত্তরপাড়া মহল্লার কামরুজ্জামান বাবুর ছেলে প্রান্ত (২৫), বেতুয়া গ্রামের দেরাজ আলীর ছেলে শাহীন সেখ (২৬) ও মহেশপুর ঝাপড়া গ্রামের আবু আক্তারের ছেলে তানভীর (২৩)। মামলার প্রধান আসামি তৌকির আহমেদ স্বপন ধানগড়া অগ্রণী ব্যাংক এলাকার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে। মামলার নথি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসাদুল ইসলাম ধানগড়া বাজারের একজন পাইকারি মুদি ব্যবসায়ী। তিনি ধানগড়া প্রামাণিকপাড়ার নূরুল ইসলামের ছেলে। তার কাছে দীর্ঘদিন যাবৎ তৌকির আহমেদ স্বপন ও তার লোকজন পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছে। কিন্তু এই চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় বিভিন্নভাবে তারা তাকে হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই এক পর্যায়ে রোববার দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে পাটের ব্যাগে চার লাখ টাকা অগ্রণী ব্যাংকে নিয়ে যাওয়ার সময় হক প্লাজার পাশের একটি ঔষধের দোকানের সামনে পৌঁছালে স্বপন ও তার লোকজন আসাদুলকে মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে রায়গঞ্জ পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তৌকির আহমেদ স্বপন বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনায় আমি জড়িত নই, সেখানে আমি উপস্থিতিও ছিলাম না। মূলত একটি মহল আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। বিষয়টি নিয়ে পৌর যুবদলের আহ্বায়ক বোরহান কবির বলেন, এ ঘটনায় স্বপন জড়িত কি না আমার জানা নেই। শুনেছি তার নামেও নাকি মামলা হয়েছে। জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এস. এম আব্দুল আলীম বলেন, টাকা ছিনতাইয়ের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ ঘটনায় দলের কেউ জড়িত থাকলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এম এ মালেক/কেএইচকে/এএসএম