বন্ডাই বিচে হামলার পর ইসরাইল-অস্ট্রেলিয়া কূটনৈতিক সম্পর্কে উত্তেজনা

অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত বন্ডাই সমুদ্র সৈকতে একটি ইহুদি উৎসবে প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এবং তার ইসরাইলি প্রতিপক্ষের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা আরও গভীর হয়েছে। কারণ ইহুদি-বিদ্বেষের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য তার সরকারের উপর অভ্যন্তরীণ চাপ বেড়েছে।সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আলবানিজ ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে, তার সরকার প্রয়োজনীয় যেকোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। এর আগে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অভিযোগ করেছিলেন যে, ২০২৩ সাল থেকে ক্রমবর্ধমান ইহুদি-বিদ্বেষ প্রতিরোধে আলবানিজ কোনো পদক্ষেপই নেননি। আরও পড়ুন:সিডনিতে গুলিবর্ষণ: বন্ডাই বিচে হামলাকারীর একজনকে শনাক্তহামলার পরপরই ইহুদি সম্প্রদায়ের নেতারাও হতাশা প্রকাশ করেছেন। সিডনির সেন্ট্রাল সিনাগগের প্রধান রাব্বি লেভি উলফ রোববার বন্ডাই বিচে রয়টার্সকে বলেন, ‘অন্যান্য দেশের মতো এই দেশেও ইহুদি-বিদ্বেষের এক ভয়াবহ মাত্রা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।’   রোববার উলফের এক বন্ধুও হামলাকারীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, যখন উপর থেকে ইহুদি-বিদ্বেষের মতো বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করা হয় না, তখন এই ঘটনাগুলো ঘটে।এদিকে, এক সংবাদ সম্মেলনে, আলবানিজ তার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের একটি তালিকা পড়ে শোনান, যার মধ্যে রয়েছে ঘৃণাত্মক বক্তব্য এবং সহিংসতার প্ররোচনাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা এবং নাৎসি স্যালুটের উপর নিষেধাজ্ঞা। এছাড়া তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে, ইহুদি সম্প্রদায়ের গোষ্ঠীগুলোর জন্য শারীরিক সুরক্ষায় তহবিল বৃদ্ধি করা হবে এবং অস্ট্রেলিয়ায় কঠোর বন্দুক আইনের প্রয়োজনীয়তার দিকেও ইঙ্গিত করেন। আরও পড়ুন:অস্ট্রেলিয়ায় সমুদ্র সৈকতে গুলি চালানোর ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী’ হামলা ঘোষণা, নিহত বেড়ে ১২রোববার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে একটি ইহুদি অনুষ্ঠান চলাকালে দুই বন্দুকধারী হামলা চালায়। এতে ১৫ জন নিহত হন। পরে বন্দুকধারীদের একজন নিহত হন। অপরজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া দুই হামলাকারী সম্পর্কে বাবা-ছেলে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়। এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণশীল লিবারেল বিরোধী দলের নেতাও  লেবার সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে যে, তারা অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদি-বিদ্বেষকে বাড়তে দিয়েছে।  সূত্র: রয়টার্স