তাসকিন আমার ‘স্পিড রেকর্ড’ ভেঙে ফেলুক: শোয়েব আখতার

দুয়ারে কড়া নাড়ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ১২তম আসর। খেলা মাঠে গড়াতে এখনও কিছুদিন বাকি থাকলেও উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে। ১২ বছর পর নিলামের মাধ্যমে দল গুছিয়েছে দলগুলো। তবে সরাসরি চুক্তির মাধ্যমে এখনও দলের শক্তিমত্তা বৃদ্ধির সুযোগ হাতছাড়া করছে না ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। মাঠের তারকা খেলোয়াড়ের পাশাপাশি ডাগআউটের জন্য নামকরা কোচ ও মেন্টর আনার দিকেও নজর তাদের। এরই মধ্যে ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টর হিসেবে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন পাকিস্তানি কিংবদন্তি শোয়েব আখতার।গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন পাকিস্তানি কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার। এবারের বিপিএলে ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টর হিসেবে থাকছেন তিনি। এবারই প্রথম বিপিএলের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত হলেন ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুতগতির এই বোলার।বাংলাদশের মানুষের ভালোবাসাই তাকে বিপিএলে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করেছে বলে জানিয়েছেন শোয়েব। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে সবসময়ই ভালোবাসা পেয়েছি। তাই এখানে আসার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি। আর বিপিএল ভালো একটা টুর্নামেন্ট। অবশেষে কাজের সুযোগ হলো৷ বিশেষ করে ফাস্ট বোলারদের কিছু শেখাতে পারলে, উৎসাহ দিতে পারলে খুশি হবো। তাসকিন ভালো বোলার। ঢাকা ক্যাপিটালসের মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর দেশটার সঙ্গে আবারও যুক্ত হতে পারছি।'বাংলাদেশে নিজের জনপ্রিয়তা দেখে অবাক শোয়েব। তার ভাষায়, 'বাংলাদেশে যখন প্রথম আসি আমি জানতাম না যে পাকিস্তানের মতো এখানেও আমার এতো জনপ্রিয়তা। ঐ ভালোবাসাটা সারাজীবন থেকে যাবে আমার সঙ্গে।' আরও পড়ুন: আইরিশ বিগ হিটার চট্টগ্রামেতিনি আরও বলেন, 'ঢাকা ক্যাপিটালসের প্রস্তাবটা কয়েক মাস আগে পেয়েছি। বাংলাদেশের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। বাংলাদেশিদের সঙ্গে দেখা করার কোনো সুযোগই কখনও হাতছাড়া করবো না। এখানকার মানুষেরা পৃথিবীর সেরা। তারা যেহেতু আমাকে এতোটা ভালোবাসে, তাই আমি তাদের সঙ্গে আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চেয়েছি।'এক সময় শোয়েবকে গতির লড়াই করতে হয়েছে ব্রেট লির সঙ্গে। পরবর্তীতে সেই লড়াইয়ে যোগ দিয়েছিলেন আরেক অজি স্পিডস্টার–শন টেইট। কালের পরিক্রমায় টেইট এখন বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ। এদিকে ঢাকার ডাগআউটে শোয়েব নিজে।টেইটকে নিয়ে এই পাকিস্তানি কিংবদন্তি বলেন, 'শন টেইট অন্যতম সেরা পেস বোলিং কোচ। আমাকে আপনাদের দরকার হবে না। এদেশের পেস ইউনিট দারুণ। বিশেষ করে তাসকিন শার্প, ফোকাসড। নাহিদ রানাও ভাালো। পর্যাপ্ত ট্রেনিং করতে হবে। গেইমটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে  অ্যাটিটিউডটাই আসল। সেটা মাঠের খেলায় প্রভাব রাখবে।'ঢাকা ক্যাপিটালসের হয়ে এই মৌসুমে খেলবেন তাসকিন আহমেদ। বোলার হিসেবে তাসকিনকে বিশেষ কিছু শেখানোর আছে বলেও মনে করেন না তিনি। তবে শোয়েবের চাওয়া ঢাকা ক্যাপিটালসের এই ফাস্ট বোলার তার সবচেয়ে বেশি গতিতে করা বলের রেকর্ড ভেঙে দিক। শোয়েবের ভাষায়, 'আমি চাই তাসকিন আমার স্পিড-রেকর্ড ভেঙে ফেলুক।'পেস বোলারদের ভয় জাগানিয়া চরিত্রটা বর্তমান সময়ের ক্রিকেটে মিস করেন শোয়েব। নাহিদ রানা, তাসকিনরা সেই  স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনবে এমনটাই চাওয়া সাবেক এই স্পিডস্টারের। প্রয়োজনে আইসিসিকে আইনের শিথিলতা আনতেও অনুরোধ জানিয়েছেন শোয়েব।আরও পড়ুন: পিএসএলের কারণে বদলাতে পারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের সূচিতিনি বলেন, ' নাহিদ, তাসকিন, বুমরাহ, শাহিন ও নাসিমসহ অনেকেই আছে জোরে বোলিং করে। আশা করি একসময় তারা আমার রেকর্ড ভাঙবে। মিচেল স্টার্ককে হ্যাটস অফ। এতো বছর ধরে দুর্দান্ত বোলিং করছে। আমি আমার মতো বোলার দেখতে চাই যারা ব্যাটারদের মনে ভয় ধরিয়ে দেবে। ফাস্ট বোলিংয়ের ক্রেইজটা ফেরাবে। আইসিসিকে অনুরোধ করবো নতুন করে ভাবতে। ওভারে ৩-৪টা বাউন্সার অ্যালাও করতে বলবো। স্কোরবোর্ডে টোটাল কম হবে। এক্সাইটমেন্টটাও ফিরবে।'খেলোয়াড়ি জীবনে বাংলাদেশে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে শোয়েবের। খেলেছেন বাংলাদেশের লিগেও। বাংলা ভাষাটার প্রতি আছে ভালোবাসাও। তাই সুযোগ পেলে ভাষাটা শিখে ফেলতে চান তিনি, 'আমি এই ভাষা ভালোবাসি। কিছু শব্দও শিখতে চাই। আগে আমরা এই ভাষায় কথাও বলতাম হয়তো। কিছুটা বুঝি। বলারও চেষ্টা করেছি। ঢাকা ক্যাপিটালসে লম্বা সময় থাকলে শিখে যাবো।'