চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল-শিবিরসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অবস্থান, স্লোগান ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে ছাত্রশিবির ও ‘সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য’-এর ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদল ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের মুখোমুখি অবস্থান নিতে দেখা যায়।এ কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল ও গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন। সন্ধ্যায় প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দেয়ার জন্য চাকসু নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে গেলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বাধা দেন। এ সময় চাকসু নেতাদের উদ্দেশে ‘পাকিস্তানের দালাল’ বলে স্লোগান দেয়া হয়, যার ফলে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হন।এর কিছু সময় পর প্রশাসনিক ভবনের আশপাশে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। ভবনের মূলফটকের সামনে অবস্থান নেন ছাত্রদল ও বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা।আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে মন্তব্য: উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল চবিঅপরদিকে প্রশাসনিক ভবনের দুপাশে অবস্থান নেন ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দুপক্ষের মাঝখানে অবস্থান নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দফতরের সদস্যরা।এ দিকে ছাত্রদল ও বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘বাঁচতে হলে, লড়তে হলে এই লড়াইয়ে জিততে হবে’, ‘তোমার দেশ, আমার দেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ’, ‘রাজাকারের চামড়া তুলে ফেলবো আমরা’ এবং ‘রাজাকার ও পাকিস্তানের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধানসহ’ বিভিন্ন স্লোগান দেন।আরও পড়ুন: জবি ছাত্র জুবায়েদ হত্যার প্রতিবাদে চবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভঅন্যদিকে ছাত্রশিবিরের মিছিল থেকে ‘চাঁদা চাঁদা করিস না, পিঠের চামড়া থাকবে না’, ‘ভিক্ষা লাগলে ভিক্ষা কর, চাঁদাবাজি ছাড় দে’, ‘লন্ডনে কামলা, দেশে চাঁদাবাজি শামলা’ এবং ‘ভারতের দালালরা, হুঁশিয়ার সাবধানসহ’নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শান্ত থাকার আহ্বান জানান চাকসুর সহ-সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন রনি। তিনি বলেন, ‘প্রশাসনিক ভবনে তালা দেয়ার যে সংস্কৃতি আগে ছিল, তা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। তালা দেয়ার কারণে সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। যাদের কোনো দাবি বা সমস্যা আছে, তারা আমাদের জানালে আমরা তা প্রশাসনের কাছে তুলে ধরবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। দ্রুত তালা খুলে দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।