দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১২তম আসর। সবকিছু ঠিক থাকলে ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে টুর্নামেন্টটির এবারের আসর। ১২ বছর পর এবার নিলামের মাধ্যমে দল গুছিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। তবে মাঠের তারকা খেলোয়াড়ের পাশাপাশি ডাগআউটের জন্য নামকরা কোচ ও মেন্টর আনার দিকেও নজর দিচ্ছে দলগুলো। এরই মধ্যে ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টর হিসেবে যোগ দিয়েছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার শোয়েব আখতার।শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন শোয়েব আখতার। বিপিএলে এবারই প্রথমবার কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত হলেন পাকিস্তানের এই তারকা। দেশে এসে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন পাকিস্তানের এই তারকা। জানিয়েছেন, তার চোখে সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার কারা। তার দৃষ্টিতে শেন ওয়ার্ন, ওয়াসিম আকরাম, শচীন টেন্ডুলকারই সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার। আরও পড়ুন: আইসিসির নভেম্বর মাসের সেরা হার্মার, মেয়েদের বিভাগে ভারতের শেফালি শোয়েব আখতার বলেন, ‘আমার দৃষ্টিতে সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার হচ্ছেন— শেন ওয়ার্ন, ওয়াসিম আকরাম আর শচীন টেন্ডুলকার। আমি অনেক আগ্রাসী ছিলাম। কাউকে আঘাত করার চেয়ে উইকেট নেয়া বেশি উপভোগ্য ছিলো। ব্রায়ান লারাকে আঘাত করেও খুব খারাপ লেগেছিলো। পরে তাকে জড়িয়ে ধরেছিলাম, সরি বলেছিলাম। সে আমাকে বলেছিলো, এরপর থেকে আর এমন বাউন্সার দিও না। শচীন সর্বকালের সেরাদের একজন। তাকে আঘাত করেও খুব খারাপ লেগেছিলো।’ শোয়েব আখতার আরও বলেন, ‘আমার ফেভারিট ডেলিভারি ছিলো, কলকাতায় শচীনকে প্রথম বলে আউট করা। দ্বিতীয়টা ছিলো ব্রায়ান লারার কাঁধে হিট করা। আর তৃতীয়টা গ্যারি কারস্টেনের বুকে হিট করা। না, এটা মজা করে বললাম। আসলে সেরা তিন ডেলিভারি হচ্ছে, শচীনেরটা। এরপর ২০০২-এ গিলক্রিস্টকে কলম্বোতে ইয়র্কারে আউট করা। আরেকটা হচ্ছে, ক্যারিয়ারের তৃতীয় বা চতুর্থ টেস্টে জ্যাাক ক্যালিসকে অনেক স্পিডি একটা ডেলিভারিতে আউট করা।’ একটা সময় ছিলো, শোয়েব আখতার, ব্রেট লি— তারা অনেক গতিতে বল করতেন। এছাড়া ডেল স্টেইন, লাসিথ মালিঙ্গা, মরণে মরকেলরাও বল করতে অনেক গতিতে। কিন্তু এখনকার বোলারদের খুব একটা গতিতে বল করতে দেখা যায় না। সে জন্য অবশ্য এই পজন্মকে দোষ দিতে নারাজ শোয়েব আখতার। আরও পড়ুন: মেসিকে ভারতের জার্সি ও বিশ্বকাপের টিকিট উপহার দিলেন আইসিসি চেয়ারম্যান ‘এই প্রজন্মকে দোষ দিইনা। তারা টি-টোয়েন্টি যুগের। তারা ট্রাভেল করে, খেলে আবার পরের দিন মাঠে নামে। এভাবে তো ফাস্টেস্ট ডেলিভারি করা সম্ভব না। ৬ মাসের বিশ্রামে থেকে মাঠে ফিরে ঐভাবে ট্রেনিং করে নামলে তারা করতে পারবে হয়তো। তবে, তাদের মধ্যে ঐ আগ্রাসী মনোভাবও আমি দেখি না। আইন-কানুনও সীমাবদ্ধ করে রাখে। আমি তো সেসময় একটু আধটু ধাক্কাধাক্কি-টানাটানি করতাম। গেইমটাকে ইন্টারেস্টিং করতে একটু বডি কনট্যাক্ট থাকতেই পারে। অন্য অনেক গেইমে এটা আছে। কাউকে লাঞ্ছিত করার জন্য নয়, কিন্তু চার্ম ধরে রাখতে বডি কনট্যাক্ট থাকতে পারে।’ খেলোয়াড়ি জীবনে বাংলাদেশে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে শোয়েবের। খেলেছেন বাংলাদেশের লিগেও। বাংলা ভাষাটার প্রতি আছে ভালোবাসাও। তাই সুযোগ পেলে ভাষাটা শিখে ফেলতে চান তিনি। এবারের বিপিএলে ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টর হিসেবে থাকবেন পাকিস্তানের এই গতি তারকা।