ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্রপ্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলির পর হত্যাচেষ্টা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির পালিয়ে যান।সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন পাগলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার কবির পটুয়াখালী সদরের টিটকাটা এলাকার মৃত মোজাফফরের ছেলে। বর্তমানে সে কেরানীগঞ্জের আশ্বিনানগর এলাকার বাসিন্দা। র্যাব ১১-এর কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ নাঈম উল হক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শরিফ ওসমান হাদিকে গুলির পরপরই গা ঢাকা দেন কবির। তিনি ফতুল্লায় এক স্বজনের বাসায় আশ্রয় নেন। সেখান থেকে র্যাব সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করেন। আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরে হাদির পরীক্ষা-নিরীক্ষা বিষয়ে যা জানা গেল প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতার কবির ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদের অন্যতম সহযোগী। বিভিন্ন মিডিয়াতে আসা সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায় কবির গত ৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে ফয়সালের সঙ্গে বেশ কয়েকবার প্রবেশ করেন। ঘটনার পরপরই গ্রেফতার এড়ানোর জন্য অভিযুক্ত কবিরসহ ফয়সাল ও আলমগীর গা ঢাকা দেন। কবিরের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি কার্যক্রমের জন্য ডিএমপির ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব আরও জানায়, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে বিজয়নগর এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি একটি রিকশায় যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল করে আসা দুই জনের একজন তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলিতে হাদি মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুলি চালানোর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজনকে শনাক্ত করে। তারা হলেন ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান (প্রধান সন্দেহভাজন শুটার) এবং আলমগীর হোসেন (বাইক চালক)। আরও পড়ুন: হাদিকে গুলির ঘটনায় সিইসির বক্তব্যের ব্যাপক সমালোচনা, নির্বাচন কমিশনের ব্যাখ্যা এ ঘটনার পর দেশব্যাপী চাঞ্চ্যল্যের সৃষ্টি হয়। হাদির ওপর হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১১ সঙ্গে সঙ্গে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এ ধারাবাহিকতায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১-এর একটি টিম ১৫ ডিসেম্বর রাতে ফতুল্লা থানাধীন পাগলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় হাদি হত্যাচেষ্টাকারী ফয়সাল করিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবিরকে গ্রেফতার করা হয়।