ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রীদের আবাসন সংকট নিরসনে প্রস্তাবিত বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী হলের নাম ‘চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী স্মারক’ হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে হলটির সম্ভাব্য নির্মাণস্থল পরিদর্শন শেষে এ তথ্য জানান ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। এদিন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। সম্ভাব্য নির্মাণস্থল পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন ঢাবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েমসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ডাকসুর প্রতিনিধিরা। পরিদর্শনকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য প্রস্তাবিত ১ হাজার ৫০০ আসনবিশিষ্ট আধুনিক আবাসিক হল প্রকল্পের প্রাথমিক নকশা উপস্থাপন করা হয়। চীনের আর্থিক সহায়তায় প্রায় ২৪৪ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে এই হল নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের প্রথমার্ধেই নির্মাণকাজ শুরু হতে পারে বলে জানান চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৫৩ শতাংশ শিক্ষার্থী নারী। কিন্তু সেই তুলনায় ছাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত আবাসিক সুবিধা নেই। এ অবস্থায় চীন সরকারের এই সহযোগিতা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হলটির নামকরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চীনের ব্যয়ে নির্মিত এ হলটির নাম ‘চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী স্মারক’ হতে পারে। তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেই চূড়ান্ত নাম নির্ধারণ করা হবে। আমাদের পক্ষ থেকে এই নামটি প্রস্তাব করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশা, এই হল নির্মাণ হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের দীর্ঘদিনের আবাসন সংকট অনেকটাই লাঘব হবে এবং বাংলাদেশ-চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। এফএআর/এমএমকে