‘হাদির হামলাকারীরা ভারতে’, ‘সীমান্তে যেতে ৫টি যানবাহন বদলান দুই সন্দেহভাজন’

দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় পত্রিকায় মঙ্গলবারের (১৬ ডিসেম্বর) প্রকাশিত কিছু খবর নিচে তুলে ধরা হলো।ওসমান হাদিকে গুলি: সীমান্তে যেতে ৫টি যানবাহন বদলান দুই সন্দেহভাজন - দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পাতার সংবাদ এটি। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, শরীফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলায় জড়িত দুই সন্দেহভাজন ফয়সল করিম মাসুদ ও আলমগীর শেখ ঢাকা থেকে বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তে যেতে পাঁচ দফা যানবাহন বদলান। তাঁরা মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ‘নম্বর প্লেট’ বদলে ভুয়া নম্বর প্লেট লাগিয়ে নিয়েছিলেন। পাশাপাশি ফেলে দিয়েছিলেন মুঠোফোন ও সিম।  তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্রের দাবি, দুই সন্দেহভাজন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। হাদির হামলাকারীরা ভারতে: জনমনে ক্ষোভ, শুটার ফয়সাল পালানোর পর সব সংস্থা সরব - দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতার সংবাদ এটি। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, চোর পালালে যেমন বুদ্ধি বাড়ে, ঠিক তেমনই এখন শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীসহ পুরো চক্রকে বাগে আনতে বুদ্ধি ও তথ্যের যেন কোনো ঘাটতি নেই। যদিও চিহ্নিত শুটার ফয়সাল করিম মাসুদসহ সহযোগী মোটরসাইকেলচালক আলমগীরকে ধরতে পারেনি পুলিশ। তারা নির্বিঘ্নে ভারতে চলে যেতে পেরেছে। অথচ তারা কীভাবে, কোন রুট দিয়ে, কাদের সহায়তায় দেশত্যাগ করেছে-এর সব তথ্যই এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের ভুটিয়াপাড়া সীমান্ত দিয়ে তাদের পার হওয়ার ব্যাপারে যে দুজন পাচারকারী সরাসরি যুক্ত ছিলেন, তাদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ফয়সালের স্ত্রী, শ্যালক ও বান্ধবীকেও গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আসল টার্গেট হাতছাড়া। বজ্র আটুনি ফসকা গেরো।  সন্ত্রাসী শুটার ফয়সাল ও আলমগীর নির্বিঘ্নে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে গিয়ে সেলফি তুলছে। দেশের মধ্যে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তারা সহজে দেশ ত্যাগ করে আশ্রয় নিতে পারবে বলে জানান দিচ্ছে। বিষয়টিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার চরম ব্যর্থতা বলে অভিহিত করেছেন বিশ্লেষক মহল ছাড়াও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তারুণ্যকে প্রাধান্য দিয়েই আসছে বিএনপি’র ইশতেহার - মানবজমিনের প্রধান খবর এটি। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, তারুণ্যের আকাক্সক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি করছে বিএনপি। ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা এবং জুলাই জাতীয় সনদের সমন্বয়ে ইতিমধ্যে ইশতেহারের সকল কাজ সুবিন্যস্ত করে রাখা হয়েছে। এখন একটা নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করবে দলটি। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আরও পরিবর্তন, সংযোজন-বিয়োজনের মাধ্যমে ইশতেহার চূড়ান্ত করা হবে। তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে ইশতেহার ঘোষণা করবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ইশতেহার তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, ফ্যামিলি কার্ড, কৃষি কার্ড, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, পরিবেশ, খতিব-ইমাম-মুয়াজ্জিনদের মাসিক সম্মানী ইশতেহারে প্রাধান্য পাবে। এ ছাড়া ইশতেহারে বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফার নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা, মানবাধিকার সুরক্ষা, বাক-স্বাধীনতা, স্বচ্ছ প্রশাসন ও জাতীয় অর্থনীতি পুনরুদ্ধার অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ওদিকে জুলাই সনদের আলোকে মানবাধিকার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে পূর্ণ স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা দেয়ার কর্মপরিকল্পনা ইশতেহারে থাকবে।  বিএনপি’র নির্বাচনী ইশতেহার তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক নেতা মানবজমিনকে জানান, দেশ গড়ার পরিকল্পনার যে কর্মসূচি বিএনপি করছে সেখানে পলিসি দেয়া হয়েছে, সেগুলো মূলত ইশতেহার থেকে এসেছে। এবার ইশতেহারে মূলত তারুণ্যের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করা, এটাই মূল প্রাধান্য পাবে। এর মধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, ফ্যামিলি কার্ড, পরিবেশ- এগুলো মূল প্রাধান্য পাচ্ছে। এর বাইরে সুশাসন, রাষ্ট্র কাঠামো, জবাবদিহিতা গুরুত্ব দেয়া হবে। সূত্রটি জানায়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, শাসনব্যবস্থা পুনর্গঠন, মানবাধিকার রক্ষা, প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণ এবং দুর্নীতিবিরোধী কাঠামো শক্তিশালীকরণ ইশতেহারের মূল বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। মহান বিজয় দিবস আজ/ ৩৩৬ জনের গেজেট বাতিলে সুপারিশ - কালের কণ্ঠের প্রধান খবর এটি। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত ৩৩৬ জনের গেজেট বাতিলের সুপারিশ করেছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। তাঁদের অনেকেরই গেজেট বাতিল করে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে। বেসামরিক, ভারতীয়, লাল মুক্তিবার্তা, আনসার বাহিনী, সেনাবাহিনী, শহীদ পুলিশ বাহিনীসহ মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন গেজেট ও তালিকায় তাঁদের নাম ছিল। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রমাণিত হওয়ায় গেজেটভুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে ৮৪ জনকে। একই সঙ্গে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে গেজেটভুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে ২৮ জনকে।  যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ভারতীয় তালিকা বা লাল মুক্তিবার্তায় রয়েছে, তাঁরা যাচাই-বাছাইয়ের আওতায় পড়বেন না—মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নেয় ২০২০ সালে। তবে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) শুনানি ও যাচাই-বাছাইয়ে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক লাল মুক্তিবার্তা ও ভারতীয় তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা নন বলে প্রমাণিত হয়েছে।