বুধবার ‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচি দিয়েছে জুলাই ঐক্য

শেখ হাসিনাসহ সব খুনিদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়া এবং ভারতীয় প্রক্সি রাজনৈতিক দল ও সরকারি কর্মকর্তাদের অব্যাহত ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণ করা ঐক্যবদ্ধ মোর্চা জুলাই ঐক্য। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) জুলাই ঐক্যের সংগঠক এবি জুবায়েরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয় সংগঠনটি। সংগঠনটি জানায়, আগামীকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর রামপুরা ব্রিজ থেকে এ কর্মসূচি শুরু হবে। এতে দেশপ্রেমিক বাংলাদেশপন্থি সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের একটি অংশ, ডাকসু ও জাকসুর একাধিক নেতা, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা ও স্কুলের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেবেন। কর্মসূচির সার্বিক নেতৃত্বে থাকবেন জুলাই ঐক্যের সংগঠকেরা। জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে বলা হয়, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকেই ভারতের প্রক্সি শক্তিগুলো নতুন করে বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার সঙ্গে জড়িত খুনিদের ভারত আশ্রয় দিয়েছে বলেও অভিযোগ করে সংগঠনটি। তাদের দাবি, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা জুলাই আন্দোলনের এক মুখ শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় ভারতীয়দের একাংশ আনন্দ-উল্লাস করেছে। এসব ঘটনাকে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে তারা জানায়, বাংলাদেশ ২.০-তে কোনো আধিপত্যবাদ আমরা মেনে নেবো না। ‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচি থেকে ভারত সরকার ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিও আলটিমেটাম দেওয়া হবে বলে জানায় জুলাই ঐক্য। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খুনিদের ফেরত না দিলে পরবর্তী পরিস্থিতির দায় দিল্লি ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। জুলাই ঐক্য আরও জানায়, ভারত ও তার প্রক্সি শক্তিগুলো বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও নির্বাচন চায় না বলেই একের পর এক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। এ প্রেক্ষাপটে চব্বিশের ছাত্র-জনতাকে আবারও দেশ রক্ষার আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে দল-মত নির্বিশেষে সব পেশার ছাত্র-জনতাকে রাজপথে নামার ডাক দিয়ে ১৭ ডিসেম্বর রামপুরা ব্রিজে উপস্থিত হয়ে ‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এফএআর/এমকেআর/এমএস