সুযোগটা এসেছিল এর আগেও, তবে গতবার বিগব্যাশে খেলতে পারেননি বাংলাদেশের রিশাদ হোসেন। তবে এবার বিগব্যাশে অভিষেক হলো রিশাদের। বল হাতে নজর কাড়লেন সবার, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের বড় মঞ্চে চেনালেন নিজের জাত। হোবার্ট হারিকেন্সের হয়ে ৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে কোনো উইকেট না পেলেও রান দিয়েছেন মাত্র ১৮, বাউন্ডারি হজম করেছেন মোটে একটি। রিশাদের এমন পারফরম্যান্সের দিনে জয় পেয়েছে তার দল। সিডনি থান্ডারকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে হোবার্ট হারিকেন্স।মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) হোবার্টে টস হেরে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান করে সিডনি থান্ডার। এই ম্যাচ দিয়ে বিগব্যাশে অভিষেক হয় বাংলাদেশি লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের। হোবার্টের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে বেশ ভালো বোলিং করেছেন রিশাদ। ৩ ওভার ওভার বল করে মাত্র একটি বাউন্ডারি হজম করেছেন এই বাংলাদেশি। রান তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই দারুণ শুরু এনে দেন মিচেল ওয়েন ও নিখিল চৌধুরী। মিচেল ওয়েনকে ফিরিয়ে তাদের ৪৮ রানের জুটি ভাঙেন তানভীর সাঙ্গা। ড্যানিয়েল শামসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৪ বলে ৩২ রান। আরও পড়ুন: বিগব্যাশ অভিষেকে উইকেট পেলেন না রিশাদ দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩৯ বলে ৬১ রান যোগ করেন ম্যাকডারমট ও নিখিল। দলীয় ১০৯ রানের মাথায় ৩১ বলে ৪১ রান করে ক্রিস গ্রিনের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নিখিল চৌধুরী। এরপর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি বেন ম্যাকডারমটও। ২৪ বলে ৩৮ রান করা এই ব্যাটারকে ফেরান সাদাব খান। টিম ডেভিড আউট হন ৯ বলে ১৭ রান করে। এরপরই ফেরেন রেহান আহমেদ। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫ বলে ২ রান। এরপর ক্রিস জর্ডানকে নিয়ে জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন অধিনায়ক নাথান এলিস। ১ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় হোবার্ট হারিকেন্স। এর আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ২ ওভারে ২৪ রান তুলে ওভারের শেষ বলে উইকেট হারায় সিডনি। ঝড় তোলা ম্যাথিউ গিল্কস ৭ বলে ২০ রান করে স্টানলাকের শিকারে পরিণত হন। ২৫ বলে ২৮ রান করা স্যাম কনস্ট্যাসকে দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন স্টানলাকে। ক্রিস জর্ডান ফেরান ৩ রান করা স্যাম বিলিংসকে। সেই ওভারের শেষ বলে অলিভার ডাভিস ফেরেন ২ রান করে। আরও পড়ুন: দেশে ফিরলেই গ্রেফতার হবেন শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ৭৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় সিডনি। তবে ক্যামেরন ব্যানক্রাফট শাদাব খানকে সঙ্গী করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনেন। ১৭তম ওভারের পঞ্চম বলে ব্যানক্রাফটকে নিজের তৃতীয় শিকার বানান স্টানলাকে। আউট হওয়ার আগে ৪৪ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন ব্যানক্রাফট। শাদাব আরেকটি জুটি গড়েন ড্যানিয়েল শামসের সঙ্গে। শেষ ওভারের এক বল বাকি থাকতে আউট হন শাদাব। তার আগে ২৪ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৩৪ রান। ১১ বলে ১টি করে চার-ছক্কায় ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন শামস। শেষ বলে ৪ মেরে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক ক্রিস গ্রিন। হোবার্টের স্টানলাকে ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন। ক্রিস জর্ডান ২টি এবং নাথান এলিস ১টি উইকেট শিকার করেন।