থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার চলমান সীমান্ত সংঘাতের প্রভাব পড়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ লাওসে। কম্বোডিয়ায় জ্বালানি সরবরাহের অভিযোগে লাওসের তেল পরিবহন রুট পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে থাইল্যান্ড। খবর রয়টার্সের।এদিকে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা অব্যাহত রয়েছে। নমপেনের বিরুদ্ধে আশ্রয়শিবিরে হামলার অভিযোগ তুলেছে থাই প্রশাসন। এতে সেনা সদস্যের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক নিহতেরও দাবি করা হয়েছে। টানা দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়ানো থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সংঘাত চলছে বিতর্কিত সীমান্তজুড়ে। উভয় পক্ষের সেনারা ভারী অস্ত্র কামান ও বিমান ব্যবহার করছে। এই লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত বহু সেনা ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। সহিংসতার কারণে সীমান্ত এলাকার কয়েক লাখ মানুষ ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। কম্বোডিয়ার অভিযোগ থাইল্যান্ড হামলার মাত্রা আরও বাড়িয়েছে। ড্রোন, ভারী কামান ও যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনায় আঘাত হানার দাবিও করেছে নমপেন। আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডের পরবর্তী সংসদ নির্বাচন ৮ ফেব্রুয়ারি দুই দেশের উত্তেজনার প্রভাব পড়েছে প্রতিবেশী দেশ লাওসেও। নিজেদের সীমান্ত দিয়ে কম্বোডিয়ায় জ্বালানি সরবরাহ ঠেকাতে লাওসগামী তেল পরিবহন পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে থাইল্যান্ড। থাই সামরিক কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, লাওসে পাঠানো জ্বালানির একটি অংশ গোপনে কম্বোডিয়ায় যাচ্ছে এবং তা সীমান্তে চলমান লড়াইয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছে অঞ্চলটির গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক পথ লাওস সীমান্তের চং মেক ক্রসিং দিয়ে। জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ থাকলেও খাদ্য ও অন্যান্য নিত্যপণ্যের আমদানি রফতানি আপাতত আগের নিয়মেই চলবে বলে জানিয়েছে থাই কর্তৃপক্ষ। তবে বিশ্লেষকদের মতে জ্বালানি বন্ধের এই পদক্ষেপ সংঘাতকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। এই যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে আঞ্চলিক কূটনীতিতেও। চলমান উত্তেজনার কারণে ১৬ ডিসেম্বর নির্ধারিত একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক বৈঠক পিছিয়ে ২২ ডিসেম্বর করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী থাইল্যান্ডের অনুরোধেই বৈঠকটি স্থগিত করা হয়। এতে স্পষ্ট, সংঘাত শুধু মাঠে নয় কূটনৈতিক অঙ্গনেও চাপ সৃষ্টি করছে বলেই মত বিশ্লেষকদের। আরও পড়ুন: মিয়ানমার: নির্বাচনের আগে দমনপীড়ন, সমালোচনা করলেই জেল-মৃত্যৃদণ্ড!