কৃষ্ণসাগরে অজ্ঞাত ড্রোন ধ্বংস করলো তুরস্ক

কৃষ্ণসাগরের ওপর দিয়ে নিজেদের আকাশসীমার দিকে আসা একটি অজ্ঞাত চালকবিহীন বিমান (ইউএভি) ধ্বংস করেছে তুরস্ক। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আকাশসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত নিরাপত্তা পদ্ধতি অনুসরণ করেই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ডের।সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে দেশটির মন্ত্রণালয় জানায়, সন্দেহজনক আকাশযানটি সনাক্ত হওয়ার পর ন্যাটো-নিযুক্ত এবং জাতীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত এফ-১৬ যুদ্ধবিমানকে সতর্ক মিশনে পাঠানো হয়। এর মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, এটি একটি নিয়ন্ত্রণহীন ড্রোন বা ইউএভি। সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে ড্রোনটিকে আবাসিক এলাকা থেকে দূরে একটি নিরাপদ অঞ্চলে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়। এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন কৃষ্ণসাগর অঞ্চলে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। সম্প্রতি কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার দু’টি ট্যাংকার জাহাজ উড়িয়ে দেয় ইউক্রেনের নৌবাহিনী। এরপর গত শুক্রবার ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরে রুশ বাহিনীর হামলায় একটি তুর্কি মালিকানাধীন কার্গো জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আরও পড়ুন: মস্কোয় যেমন কাটছে সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টের জীবন জাহাজে হামলা বাড়তে থাকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তুরস্ক। সেই সঙ্গে দেশটি যুদ্ধরত গোষ্ঠীগুলোকে সতর্ক করেছে যে, ইউক্রেন যুদ্ধ যেন বাণিজ্যিক নৌ চলাচলে ছড়িয়ে না পড়ে এবং আঞ্চলিক বাণিজ্যে প্রভাব না ফেলে। এছাড়া আঙ্কারা জাহাজ চলাচল ও জ্বালানি অবকাঠামো রক্ষায় সীমিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রস্তাব দিয়েছে। এক্ষেত্রে ২০২২ সালের জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় হওয়া শস্য চুক্তির উদাহরণ টানা হয়েছে, যা সংঘাতের মধ্যেও কৃষ্ণসাগরে নিরাপদ নৌপথ নিশ্চিত করেছিল। গত শনিবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেন, ‘যদি একটি ব্যাপক যুদ্ধবিরতি ও শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব না হয়, তাহলে অন্তত দুটি ক্ষেত্রে সীমিত চুক্তি দরকার—জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলা বন্ধ রাখা এবং কৃষ্ণ সাগরে বাণিজ্যিক নৌচলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’