কয়েক মাসের শুনানি ও যুক্তি-তর্ক শেষে আদালতের রায়ে জিতলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তাকে ছয় কোটি ইউরো দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পিএসজিকে।দুই পক্ষের পাল্টা-পাল্টা অভিযোগের পর মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) প্যারিসের একটি লেবার কোর্ট এমন রায় দেন। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার আগে এমবাপ্পের পুরনো ঠিকানা ছিল পিএসজি। ২০১৭ সালে মোনাকো ছাড়ার পর ক্লাবটির হয়ে টানা সাত মৌসুম খেলেছেন এ ফরাসি। হয়ে উঠেছিলে ক্লাবটির জান-প্রাণ। কিন্তু শেষদিকে দুই পক্ষের মধ্যে তিক্ত সম্পর্ক তৈরি হয়। বিশেষ করে এমবাপ্পে যখন রিয়ালে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন তখন বাধা হয়ে দাঁড়ায় পিএসজি। অনেক নাটকীয়তা শেষে ফ্রি এজেন্ট হয়ে বার্নাব্যুতে পাড়ি দেন ফরাসি বিশ্বকাপজয়ী। সেখানে যাওয়ার পর শেষ তিন মাসের বেতন পিএসজি দেয়নি বলে অভিযোগ নিয়ে আদালতে যান এমবাপ্পে। পরে আবার তিনি দাবি করেন, ক্লাবটির কাছে তার পাওনা ২৬ কোটি ইউরোর বেশি। আরও পড়ুন: দুই ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল রিয়াল পাল্টা অভিযোগ নিয়ে আদালতে হাজির হয় পিএসজিও। তারা এমবাপ্পের কাছে ৪৪ কোটি ইউরো ক্ষতিপূরণ দাবি করে। ক্লাব কর্তৃপক্ষের যুক্তি, এমবাপ্পে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে দল ছাড়ায় ১৮ কোটি ইউরো আয়ের সুযোগ হারিয়েছে পিএসজি। ২০২৩ সালে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালের ৩০ কোটি ইউরোর প্রস্তাব নাকি নাকচ করতে হয়েছিল তার কারণে। সব মিলিয়ে এ ক্ষতিপূরণ দাবি করে তারা। দুই পক্ষের পাল্টা-পাল্টি অভিযোগের পর কয়েক মাসের শুনানি ও যুক্তি-তর্ক শেষে প্যারিসের একটি লেবার কোর্ট এমবাপ্পেকে ৬ কোটি ইউরো দিতে পিএসজিকে নির্দেশ দিয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী এমবাপ্পের প্রাপ্য তিন মাসের বেতন, নৈতিকতা বোনাস এবং চুক্তি স্বাক্ষরের বোনাস দিতে ব্যর্থ হয়েছে পিএসজি। আরও পড়ুন: কেন মোদির সঙ্গে দেখা করেননি মেসি? আদালতের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে এমবাপ্পের আইনজীবি ফ্রেদেরিক কাসেরোহ বলেন, ‘এই রায়ে আমরা খুশি। যখন বেতন (সময়মতো) পরিশোধ করা হয় না, তখন এটাই প্রত্যাশিত।’ তবে আদালতের এ রায়ের বিপক্ষে আপিল করার সুযোগ থাকছে পিএসজির।