‘সু চির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে’, ছেলের আশঙ্কার পর কী বললো জান্তা?

মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চি’র স্বাস্থ্যের অবনতি এবং তাকে ঘিরে তথ্যের শূন্যতা নিয়ে ছেলের উদ্বেগ প্রকাশের একদিন পর জান্তা সরকার দাবি করেছে, সাবেক নেত্রী সু চি সুস্থ আছেন।স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) জান্তা সরকার অং সান সু চি’র স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়। একদিন আগে টোকিওতে এক সাক্ষাৎকারে রয়টার্সকে সু চির ছেলে কিম আরিস বলেন, তিনি কয়েক বছর ধরে তার ৮০ বছর বয়সি মায়ের কোনো খবর পাননি। ২০২১ সালে সু চি’র সরকার উৎখাত হওয়ার পর থেকে, এই সময়ের মধ্যে মাঝেমধ্যে শুধু তার হৃদ্‌যন্ত্র, হাড় এবং মাড়ির সমস্যার কিছু তথ্য জানতে পেরেছেন আরিস। তিনি বলেন, তার (অং সান সু চি) স্বাস্থ্যগত সমস্যা চলছে। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে কেউ তাকে দেখেনি। পরিবার তো দূরের কথা, তাকে তার আইনি দলের সাথেও যোগাযোগ করতে দেয়া হয়নি। আমি যতদূর জানি, ইতোমধ্যেই তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। আরও পড়ুন: মিয়ানমার: নির্বাচনের আগে দমনপীড়ন, সমালোচনা করলেই জেল-মৃত্যৃদণ্ড! আরিস আরও বলেন, ‘আমি মনে করি মিন অং হ্লাইং (মিয়ানমার জান্তাপ্রধান)-এর আমার মায়ের ক্ষেত্রে নিজস্ব এজেন্ডা আছে। যদি তিনি নির্বাচনের আগে বা পরে তাকে মুক্তি দিয়ে অথবা গৃহবন্দি করে সাধারণ জনগণকে সন্তুষ্ট করার জন্য তাকে ব্যবহার করতে চান, তাহলেও অন্তত সেটা কিছু একটা হবে।’ নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী সু চিকে ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর আটক করা হয়েছিল। নির্বাচনে অনিয়ম, উসকানি, দুর্নীতির অভিযোগে তাকে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির জান্তা নিয়ন্ত্রিত আদালত। যদিও নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সু চি। আরও পড়ুন: ‘ইতোমধ্যে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে’, সাক্ষাৎকারে সু চির ছেলে জান্তা নিয়ন্ত্রিত মিয়ানমার ডিজিটাল নিউজে পোস্ট করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়, অং সান সু চি সুস্থ আছেন। সাবেক নেত্রীর ক্ষেত্রে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করা হলেও বিবৃতিতে তার শারীরিক অবস্থার কোনো প্রমাণ কিংবা বিস্তারিত তথ্য দেয়া হয়নি। জান্তার বক্তব্য সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে আরিসের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে রয়টার্স জানিয়েছে।