ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু নীতিতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত

ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু নীতিতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলেছে। গাড়ি শিল্পের চাপের মুখে ২০৩৫ সাল থেকে কমবাসশন ইঞ্জিনচালিত নতুন গাড়ি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত শিথিল করার প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন। এতে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্ভর কঠোর নীতি থেকে কিছুটা সরে এসে নির্গমন কমানোর লক্ষ্যেই জোর দিচ্ছে ইইউ।জলবায়ু নীতিতে বড় ধরনের পিছু হটে গাড়ি নির্মাতাদের চাপের মুখে ২০৩৫ সাল থেকে কমবাসশন ইঞ্জিনচালিত নতুন গাড়ি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত শিথিল করার প্রস্তাব দিয়েছে ইইউ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) ইউরোপীয় কমিশন প্রস্তাব করে, ২০৩৫ সাল থেকে শতভাগ শূন্য নির্গমন বাধ্যবাধকতার পরিবর্তে নির্গমন কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হবে। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, ২০২১ সালের তুলনায় কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন ৯০ শতাংশ কমালেই চলবে। এতে প্লাগ-ইন হাইব্রিড ও রেঞ্জ এক্সটেন্ডারসহ কিছু নন-ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রির সুযোগ থাকবে। জার্মানি, ইতালি ও ইউরোপের শীর্ষ অটোমেকারদের চাপের পর এই সিদ্ধান্তে আসে ইইউ। বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে টেসলা ও চীনা নির্মাতাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ায় ইউরোপীয় কোম্পানিগুলো দীর্ঘদিন ধরেই সময় ও নীতিগত ছাড় চেয়ে আসছিল। আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক প্রস্তাব অনুযায়ী, অবশিষ্ট নির্গমন পুষিয়ে নিতে ইইউতে উৎপাদিত লো-কার্বন স্টিল, সিনথেটিক ই-ফুয়েল এবং কৃষি বর্জ্য বা ব্যবহৃত রান্নার তেল থেকে তৈরি বায়োফুয়েল ব্যবহারের সুযোগ থাকবে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টে দেয়া বক্তব্যে ইইউর জলবায়ু কমিশনার জানান, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় ইউরোপকে আরও দ্রুত এগোতে হবে। তবে সমালোচকদের মতে, এটি গত পাঁচ বছরে নেয়া ইইউর সবুজ নীতির সবচেয়ে বড় পিছ পা হওয়া। প্রস্তাব কার্যকর হলে ২০৩০ থেকে ২০৩২ সালের মধ্যে গাড়ির নির্গমন কমানোর লক্ষ্য ৫৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হবে, আর ভ্যানের ক্ষেত্রে ২০৩০ সালের লক্ষ্য ৫০ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশ করা হবে। সিদ্ধান্তটি এখন ইইউ সদস্য রাষ্ট্র ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের অনুমোদনের অপেক্ষায়।