ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত তেলবাহী ট্যাংকার ভেনেজুয়েলায় প্রবেশ ও বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, সবচেয়ে বড় নৌবহর দিয়ে ভেনেজুয়েলাকে পুরোপুরি ঘিরে ফেলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ট্রাম্প।এদিকে ভেনেজুয়েলার উপকূলে সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকায় ২ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় মার্কিন হামলার পূর্ণ ভিডিও প্রকাশের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সমরমন্ত্রী পিট হেগসেথ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এটি শীর্ষ গোপনীয় ভিডিও, জনসমক্ষে তা প্রকাশ করা হবে না। অভিযানের নেতৃত্বদানকারী নৌবাহিনীর অ্যাডমিরাল ফ্র্যাঙ্ক ব্র্যাডলির প্রশংসা করে হেগসেথ বলেন, এটি সন্ত্রাসী সংগঠন ও মাদক কার্টেলের বিরুদ্ধে একটি সফল অভিযান। এদিকে ভিডিও না দেখানোয় প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিনেট সংখ্যালঘু নেতা চাক শুমার। এই অভিযানের উদ্দেশ্য নিয়ে ভিন্ন ইঙ্গিত দিয়েছেন হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ সুসি ওয়াইলস। ভ্যানিটি ফেয়ারকে দেয়া মন্তব্যে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নৌকায় হামলা চালিয়ে যাবে যতক্ষণ না ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ‘হাল ছাড়েন’। এতে ট্রাম্প প্রশাসনের ‘মাদকবিরোধী অভিযান’ ব্যাখ্যার সঙ্গে স্পষ্ট বিরোধ দেখা দিয়েছে। আরও পড়ুন: প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বাঞ্চলে ৩ নৌযানে মার্কিন হামলা, নিহত ৮ এদিকে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সামরিক মহড়া এবং ভেনেজুয়েলার সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে মঙ্গলবার দক্ষিণ পুয়ের্তো রিকোর একটি বন্দরে ভিড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক জাহাজ। এছাড়া ত্রিনিদাদ ও টোবাগো যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিমানকে নিজেদের বিমানবন্দর ব্যবহারের অনুমোদন দেয়ার পর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কারাকাস। সম্প্রতি ত্রিনিদাদের সঙ্গে সব জ্বালানি সহযোগিতা চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট মাদুরো। ভেনেজুয়েলা সরকার এটিকে তেল চুরির অংশ হিসেবে বর্ণনা করে সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে। এদিকে ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ একটি সাইবার হামলার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, প্রশাসনিক ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। আরও পড়ুন: কলম্বিয়ায় ৮০ মিটার গভীর খাদে শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাস, নিহত ১৭ রয়টার্স জানায়, কোম্পানির ওয়েবসাইট বন্ধ রয়েছে এবং তেল সরবরাহ সাময়িকভাবে স্থগিত হয়েছে। যদিও সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা এখনো হামলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাননি বলে জানিয়েছেন।