একের পর এক দেশের ওপর কেন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেন ট্রাম্প?

একটি ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরের মাধ্যমে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকা আরও সম্প্রসারিত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। নতুন এই ঘোষণায়, আগে থেকে নিষিদ্ধ ১২টি দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হয়েছে এবং নতুন করে আরও কয়েকটি দেশকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে এমন নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কারণ কী?হোয়াইট হাউস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, যেসব বিদেশি নাগরিকের ‘ব্যাকগ্রাউন্ড’ সম্পর্কে মার্কিন কর্মকর্তাদের কাছে ‘যথেষ্ট তথ্য’ নেই, তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি, এটি প্রশাসনের অন্যান্য পররাষ্ট্রনীতির লক্ষ্য পূরণের অংশ বলেও উল্লেখ করা হয়। ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারে যুক্তরাষ্ট্রে কঠোর অভিবাসন নীতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, আর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ছিল তার প্রথম মেয়াদের অন্যতম প্রধান নীতি ছিল। ১৬ ডিসেম্বরের ঘোষণায় যেসব দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, সেগুলো হলো: বুরকিনা ফাসো, মালি, নাইজার, দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ইস্যু করা ভ্রমণ নথিধারী ব্যক্তিরা। এছাড়াও ১৫টি দেশের পাসপোর্টধারীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সেগুলো হলো: অ্যাঙ্গোলা, অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা, বেনিন, কোত দিভোয়ার, ডোমিনিকা, গ্যাবন, গাম্বিয়া, মালাউই, মৌরিতানিয়া, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, তানজানিয়া, টোঙ্গা, জাম্বিয়া এবং জিম্বাবুয়ে। বর্ধিত এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।  আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ইরানের কড়া প্রতিক্রিয়া এর পাশাপাশি, লাওস এবং সিয়েরা লিওন, যারা আগে আংশিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল–এখন সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত হয়েছে। অন্যদিকে বুরুন্ডি, কিউবা, টোগো ও ভেনেজুয়েলার ওপর আংশিক বিধিনিষেধ বহাল থাকবে। তবে ট্রাম্পের আগের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা তুর্কমেনিস্তানকে নতুন তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। আর যে ১২টি দেশ আগে থেকেই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল, সেগুলোর ওপর আগের মতোই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। দেশগুলো হলো: আফগানিস্তান, মিয়ানমার (বার্মা), চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেন। নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পেছনে কারণ হিসেবে অনুপযুক্ত ভেটিং ব্যবস্থা, কিছু দেশে সক্রিয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর উপস্থিতি এবং যুক্তরাষ্ট্রে ভিসার মেয়াদ অতিক্রম করে অবস্থান করার উচ্চ হারকে উল্লেখ করেছে হোয়াইট হাউস। নতুন ঘোষণায় স্থায়ী বাসিন্দা (গ্রিন কার্ডধারী), বিদ্যমান ভিসাধারী, কূটনীতিক ও ক্রীড়াবিদদের মতো কিছু নির্দিষ্ট ভিসা ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে ছাড় রাখা হয়েছে। তবে পরিবার-ভিত্তিক অভিবাসী ভিসার ক্ষেত্রে আগে থাকা কিছু ছাড়ের বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। সূত্র: ইউএসএ টুডে