নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের মিছিল করার অভিযোগে গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় মেজর সাদিকুল হকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বুধবার পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন। গ্রেফতার দেখানোর পর কাঠগড়ায় সুমাইয়া জাফরিন কান্নায় ভেঙে পড়েন। তবে তিনি কোনো বক্তব্য দেননি। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শামসুদ্দোহা সুমন জানান, গুলশান থানার ডিবির পরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হক মামুন আদালতে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। আরও পড়ুনমেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন আটকগ্রেফতার দেখানো হলো সুমাইয়া জাফরিনকে, চাওয়া হবে রিমান্ড এর আগে গত ৬ আগস্ট রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাসংলগ্ন একটি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ‘গোপন বৈঠকের’ সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সুমাইয়া জাফরিনকে হেফাজতে নেয়। পরদিন আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার স্বামী মেজর সাদিকুল হকও বর্তমানে সেনা হেফাজতে রয়েছেন। গ্রেফতার দেখানোর আবেদনে বলা হয়, মামলায় গ্রেফতার অন্য আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য, জবানবন্দি ও স্থানীয় তদন্তে জানা গেছে সুমাইয়া তাহমিদ জাফরিন (২৬) ওই মিছিলে অংশ নেন এবং নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের অর্থ জোগানদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতা হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে তাকে সংগঠনটির সক্রিয় সদস্য হিসেবে পাওয়া গেছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২২ এপ্রিল সকাল ৭টার দিকে গুলশান-১ এর জব্বার টাওয়ারের পাশে সড়কে ছাত্রলীগের ব্যানারে অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৩৫ জন মিছিল করেন। এসময় দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হলেও বাকিরা পালিয়ে যান। ওই ঘটনায় ওই দিনই পুলিশ বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করে। এমডিএএ/এমআইএইচএস/এমএস