পুলিশের বাধার মুখে আটকে গেছে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলা ও ভারতীয় মিডিয়া আগ্রাসনের প্রতিবাদ, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দায়ের হওয়া মামলায় পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে ‘মার্চ টু ভারতীয় হাইকমিশন’ কর্মসূচি।বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে 'জুলাই ঐক্য'র ব্যানারে রাজধানীর রামপুরা ব্রিজ থেকে কয়েকশো কর্মী-সমর্থক নিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলে উত্তর বাড্ডা এলাকায় পুলিশ বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে ব্যারিকেডের সামনেই অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা এবং সেখানেই শ্লোগান দিতে থকেন। পরে ডাকসু নেতারা এসে আন্দোলনকারীদের শান্ত করেন। আন্দোলনকারীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে ডাকসুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক আলী বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতন হলেও দলটির তৎপরতা এখনও চলমান। ভারতে পালিয়ে থেকে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পতিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উস্কে দিচ্ছেন। এই উস্কানির অংশ হিসেব হত্যার উদ্দেশ্যে হাদির ওপর হামলা চালায় নিষিদ্ধ-ঘোষিত ছাত্রলীগ। আরও পড়ুন: বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে দিল্লিতে তলব অপ্রত্যাশিত নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টাএসময় অবিলম্বে শেখহাসিনাসহ পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে দিয়ে তাদের দণ্ড কার্যকরে সহায়ক ভূমিকা রাখতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানান লংমার্চে অংশ নেয়া নেতাকর্মীরা। পরবর্তীতে সড়ক ছেড়ে দিলে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।