কনফিডেন্স সল্ট লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী সাদিউল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত-২। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) আদালতের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (জেলা ও দায়রা জজ) নুসরাত সাহারা বীথি এই পরোয়ানা জারি করেন। সাদিউল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার মালিকানাধীন কনফিডেন্স লবণে রাসায়নিক পরীক্ষায় সোডিয়াম ক্লোরাইড, আয়োডিন ও সালফেটের নির্ধারিত মান পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে গত ৯ ডিসেম্বর সাদিউল ইসলামের বিরুদ্ধে স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অঞ্চল-২ ও ৬ এর ফুড অ্যান্ড স্যানিটেশন কর্মকর্তা কামরুল হাসান। ওই মামলার আবেদন আজ গ্রহণ করেছেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত-২। এ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২৯ ডিসেম্বর। জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানিয়েছেন কামরুল হাসান। আরও পড়ুনজিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল প্রাথমিকে ‘মেধা যাচাই পরীক্ষা’ হাইকোর্টে স্থগিত মামলার আবেদনে বলা হয়, গত ৩০ নভেম্বর খিলগাঁও তিলপাপাড়ার দুই বন্ধু স্টোর থেকে ভেজাল বা মানসম্পন্ন নয় সন্দেহে নগদ ৪০ টাকা দিয়ে এক কেজি কনফিডেন্স আয়োডিনযুক্ত ভ্যাকুয়াম লবণের (নতুন) প্যাকেট কেনেন কামরুল ইসলাম। তখন বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. তাজুল ইসলামের সামনে নমুনাটিকে সমান ভাগে ভাগ করে সিলমোহর যুক্ত করা হয়। এর একটি অংশ বিক্রেতাকে, অপর একটি অংশ ভবিষ্যতে তুলনার জন্য প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হয়। বাকি দুটি অংশ আধুনিক খাদ্য পরীক্ষাগার এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পরীক্ষা জন্য পাঠানো হয়। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের আধুনিক খাদ্য পরীক্ষাগার এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে লিখিতভাবে জানানো হয়, কনফিডেন্স আয়োডিনযুক্ত ভ্যাকুয়াম লবণ ইনটেক মান সম্পন্ন নয়। এর একটি সনদপত্রও দিয়েছে তারা। ওই সনদে লেখা হয়, বিডিএস (১২৩৬-২০২০) মান অনুযায়ী রাসায়নিক পরীক্ষায় সোডিয়াম ক্লোরাইড নির্ধারিত মান ন্যূনতম ৯৮ শতাংশ থাকার কথা। সেখানে পাওয়া গেছে ৯৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আবার আয়োডিনের নির্ধারিত মান অনুর্ধ্ব ২০ থেকে ৫০ পিপিএম থাকার কথা, সেখানে আছে মাত্র ১৩ পিপিএম। এছাড়া সালফেটের নির্ধারিত মান অনুর্ধ্ব শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ। সেখানে রাসায়নিক পরীক্ষায় শূন্য দশমিক শূন্য শূন্য ১ শতাংশ পাওয়া গেছে। ওই আবেদনে আরও বলা হয়, কনফিডেন্সের লবণে সোডিয়াম ক্লোরাইড, আয়োডিন ও সালফেটের নির্ধারিত মান না থাকা নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর ২৬ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। একই আইনে ৫৮ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় প্রতিষ্ঠানের মালিকদের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়। এমএমএ/কেএসআর