যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের খন্দকারপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে গোপনে পরিচালিত একটি ভেজাল দস্তা সার কারখানায় অভিযান চালিয়ে তা ধ্বংস করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যশোর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সেলিমুজ্জামানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে কারখানার মালিক ইকরামুল খন্দকারকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ইকরামুল খন্দকার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের খন্দকার পাড়ার বাসিন্দা। অভিযানে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা ও পুলিশ সদস্যরা অংশ নেন। ভোক্তা অধিকার সূত্রে জানা যায়, কারখানাটিতে মাটির সঙ্গে চুন, চক পাউডার ও টাইলসের ডাস্ট মিশিয়ে দানাদার দস্তা সার তৈরি করা হচ্ছিল। পরে এসব ভেজাল সার ঢাকার ঠিকানা সংবলিত বিভিন্ন নামি কোম্পানির মোড়কে ভরে বাজারজাত করা হচ্ছিল। প্রতিটি প্যাকেট ২২০ টাকা দরে বিক্রি করা হতো। গত প্রায় ৯ মাস ধরে অত্যন্ত গোপনে এই অবৈধ কার্যক্রম চলছিল। অভিযানকালে কারখানার ভেতর বিপুল পরিমাণ কাঁচামাল ও প্রস্তুত ভেজাল সার পাওয়া যায়, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় চার লাখ টাকা। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের টিম এসব মালামাল ঘটনাস্থলেই ধ্বংস করে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যশোরের সহকারী পরিচালক মো. সেলিমুজ্জামান জানান, ভেজাল সার কৃষকদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ ধরনের প্রতারণা রোধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানের শেষে কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং মালিক ইকরামুল খন্দকারের কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। মিলন রহমান/এমএন/এমএস