২০২৪-এর নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ডামি প্রার্থীর ভূমিকা তদন্ত চেয়ে সিইসিকে নোটিশ

২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল ডামি প্রার্থীর ভূমিকা তদন্ত চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।নোটিশে যেসব প্রার্থী অবৈধ ও প্রশ্নবিদ্ধ ওই নির্বাচনকে বৈধতা দিতে অংশগ্রহণ করেছে তাদের ২০২৬ সালের সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।বুধাবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এই নোটিশ দেন।সংগঠনটির সভাপতি রিফাত রশিদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সিইসিকে এই নোটিশ দেন।এতে আগামী সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।আরও পড়ুন: হাদিকে গুলির ঘটনায় সিইসির বক্তব্যের ব্যাপক সমালোচনা, নির্বাচন কমিশনের ব্যাখ্যানোটিশে বলা হয়েছে ‘২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি প্রশ্নবিদ্ধ, অংশগ্রহণহীন ও গণতান্ত্রিক মানদণ্ডবর্জিত নির্বাচন হিসেবে দেশ-বিদেশে সমালোচিত হয়েছে। ওই নির্বাচনে প্রকৃত রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা, ভোটারদের কার্যকর অংশগ্রহণ এবং সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক চর্চার মৌলিক নীতিমালা লঙ্ঘিত হয়েছে।’ এই পরস্থিতিতে যেসব ব্যক্তি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন তারা রাজনৈতিক দলভুক্ত হোন বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হোন আওয়ামী লীগ বা অন্য যে কোনো পরিচয়ে তারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে একটি অবৈধ ও প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনকে বৈধতা প্রদান করেছেন।বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী গণতান্ত্রিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন ও তত্ত্বাবধান করা নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব। কিন্তু ২০২৪ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে এই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালিত হয়নি।আরও পড়ুন: ভোটে আওয়ামী দোসরদের সুযোগ দিলে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও হবে: রাশেদ খানএ আবস্থায় ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার সঙ্গে জড়িত থাকায়, তাদের ২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্যতা পুনর্বিবেচনা করা এবং তাদের অযোগ্য ঘোষণা করা সাংবিধানিক ও নৈতিকভাবে অপরিহার্য।আপনাকে এই নোটিশের মাধ্যমে সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে, ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থীর ভূমিকা তদন্ত করা।যেসব প্রার্থী অবৈধ ও প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনকে বৈধতা প্রদানে অংশগ্রহণ করেছেন, তাদের ২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা। একইসঙ্গে এ বিষয়ে একটি স্পষ্ট নীতিগত ও আইনগত সিদ্ধান্ত জনসমক্ষে প্রকাশ করা।নির্বাচন কমিশন যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কার্যকর ও আইনসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হয়, তবে প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হবে।