মা-মেয়ে খুন: ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়েকে হত্যার ঘটনায় স্বামী রাব্বির পর এবার গৃহকর্মী আয়েশা আক্তারও আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের ভিত্তিতে আয়েশার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই মিজানুর রহমান।এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর আয়েশা ও তার স্বামী রাব্বিকে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় ফুফু-শাশুড়ির বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিন দিনের রিমান্ড শেষে গত রোববার রাব্বি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।গত ৮ ডিসেম্বর সকাল ৭টার দিকে বাদী আজিজুল ইসলাম স্কুলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। বেলা ১১টার দিকে তিনি বাসায় ফেরার পর নিজ চোখে দেখতে পান স্ত্রীর লায়লা আফরোজ (৪৮) এবং ১৫ বছরের কন্যা নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজের মরদেহ। তার চিৎকারে আশপাশের বাসিন্দারা ছুটে আসেন এবং খবর দেয়া হয় পুলিশকে।আরও পড়ুন: মা-মেয়েকে হত্যায় গ্রেফতার গৃহকর্মীর ভয়ংকর অতীত জানাল পুলিশপুলিশ সিসি ক্যামেরার ভিডিও ও দারোয়ান খালেকের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে জানায়, সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে আনুমানিক ২০ বছর বয়সী আয়েশা বোরখা পরে বাসায় প্রবেশ করেন। এরপর সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটে স্কুল ড্রেস পরে বের হওয়ার সময় তার মুখে মাস্ক থাকায় বাসার দারোয়ান তাকে চিনতে পারেননি। স্কুল ড্রেসটি নিহত নাফিসার ছিল।পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের চার দিন আগে বাসায় নতুন কাজে আসা আয়েশা পূর্বপরিচিত নয়। নিরাপত্তাকর্মী খালেকের মাধ্যমে তিনি ওই বাসায় যান। ঘটনার পর পুলিশ তদন্তে নেমে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে।মামলার বাদী আজিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে প্রায় ১৩ বছর ধরে ওই বাসায় বসবাস করছেন।আদালত আগামী ১৩ জানুয়ারির মধ্যে এই জোড়া খুনের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।