ভাতার দাবিতে আন্দোলন: সচিবালয়ের ১৪ কর্মকর্তা-কর্মচারী কারাগারে

‘সচিবালয় ভাতা’ চালুর দাবিতে আন্দোলনের সময় গ্রেফতার সচিবালয়ের ১৪ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার শুনানি শেষে আসামিদের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় গ্রেফতার ওই ১৪ জনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। রিমান্ড শেষে বুধবার তাদের আদালতে হাজির করা হলে আসামিপক্ষ থেকে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। তবে রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন না দিয়ে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কারাগারে পাঠানো আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা বাদিউল কবির, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শাহীন, গোলাম রাব্বানী ও নজরুল ইসলাম। এছাড়া, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রোমান গাজী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক আবু বেলাল, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. তায়েফুল ইসলাম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক বিপুল রানা বিপ্লব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক মো. আলিমুজ্জামান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র রায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী ইসলামুল হক ও মো. মহসিন আলী, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক ও সংযুক্ত পরিষদের প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান সুমন এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অফিস সহায়ক নাসিরুল হক নাসি রয়েছেন। এর আগে, গত শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আলম পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক কেএম রেজাউল করিম তাদের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলেও আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড দেন। গত বুধবার সচিবালয় ভাতা চালুর দাবিতে সচিবালয়ে আন্দোলন চলাকালে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রায় সাত ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকেন। পরে পুলিশের সহায়তায় রাত সোয়া ৮টার দিকে তিনি সচিবালয় ত্যাগ করেন। ওই ঘটনার পর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয় এবং এর ধারাবাহিকতায় ১৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়। এমডিএএ/এএমএ