‘অবৈধ খেলোয়াড়’ খেলানোর অভিযোগ, প্রমাণ হলে বিশ্বকাপ থেকে বাদ

আগামী বছরের ফুটবল বিশ্বকাপে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে ফিফার কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দিয়েছে নাইজেরিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এনএফএফ)। অভিযোগে বলা হয়েছে, আফ্রিকা অঞ্চলের প্লে-অফ ফাইনালে কঙ্গোর (ডিআর কঙ্গো) একাধিক অযোগ্য খেলোয়াড় মাঠে নামিয়েছে।গত মাসে মরক্কোয় অনুষ্ঠিত প্লে-অফের ফাইনালে টাইব্রেকারে নাইজেরিয়াকে হারিয়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল প্লে-অফে জায়গা করে নেয় ডিআর কঙ্গো। আগামী মার্চে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই প্লে-অফ থেকে কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের শেষ দুটি টিকিট নির্ধারিত হবে।তবে, এনএফএফের অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক পরিচয় বদলানো কয়েকজন খেলোয়াড়। নাইজেরিয়ার দাবি, ওই ম্যাচে ডিআর কঙ্গোর হয়ে খেলা অ্যারন ওয়ান-বিসাকা ও অ্যাক্সেল তুয়ানজেবে আইনগতভাবে খেলার জন্য বৈধ নন। কারণ, কঙ্গোর আইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের অনুমতি নেই, অথচ এই খেলোয়াড়দের ইউরোপীয় ও ফরাসি পাসপোর্ট রয়েছে।নাইজেরিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সানুসি বলেন, ‘আমাদের দাবি, ফিফাকে ভুল তথ্য দিয়ে তাদের খেলার অনুমতি নেয়া হয়েছে। কঙ্গোর আইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ নেই, কিন্তু তাদের কয়েকজন খেলোয়াড় একাধিক দেশের পাসপোর্টধারী। আমরা এটিকে ফিফার নিয়ম ভঙ্গ এবং প্রতারণা বলেই মনে করি।’এনএফএফ জানিয়েছে, তারা অভিযোগের পক্ষে প্রয়োজনীয় নথি ও আইনি যুক্তি ফিফার কাছে জমা দিয়েছে।আরও পড়ুন: ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ফিফা বিশ্বকাপের প্রাইজমানি ঘোষণা, কত পাবে চ্যাম্পিয়নরা অন্যদিকে ডিআর কঙ্গো ফুটবল ফেডারেশন (ফেকোফা) অভিযোগটি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। লেপার্ডসের অফিসিয়াল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আইনের ফাঁক খুঁজে জেতার চেষ্টা করছে নাইজেরিয়া। বিশ্বকাপ খেলতে হয় মর্যাদা ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে, আইনজীবীদের কৌশলে নয়।’ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, কোনো খেলোয়াড় একবারই জাতীয় দল পরিবর্তনের আবেদন করতে পারেন এবং সেটি লিখিতভাবে ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষ।ফিফা একটি দেশের হয়ে খেলতে সংশ্লিষ্ট দেশের পাসপোর্ট থাকার শর্ত দিলেও, একাধিক পাসপোর্ট রাখার বিষয়ে বাধা নেই। তবে কঙ্গোর জাতীয় আইনে দ্বৈত নাগরিকত্ব অনুমোদিত নয়, এটিকেই মূল যুক্তি হিসেবে তুলে ধরছে নাইজেরিয়া।এদিকে, ফিফার কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পৌঁছালে কয়েকটি সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত আসতে পারে। প্রথমত, প্রমাণ অপর্যাপ্ত মনে হলে অভিযোগ খারিজ করে ডিআর কঙ্গোর যোগ্যতা বহাল রাখা হতে পারে। দ্বিতীয়ত, তদন্ত করে প্রক্রিয়াগত ত্রুটি পেলে ফেডারেশনকে জরিমানা বা সতর্কবার্তা দেয়া হতে পারে, যদিও ম্যাচের ফল অপরিবর্তিত থাকবে। সবচেয়ে গুরুতর ক্ষেত্রে খেলাধুলাভিত্তিক শাস্তি—ম্যাচ বাতিল, প্রতিপক্ষকে জয় দেয়া বা পয়েন্ট কর্তনের মতো সিদ্ধান্তও আসতে পারে।