সহজে বিয়ে হওয়ার আমল ও দোয়া

বিয়ে চারিত্রিক পবিত্রতার অন্যতম মাধ্যম। এটি নবীদের সুন্নত। বংশধারা চালু রাখার ক্ষেত্রে এর বিকল্প নেই। মহান আল্লাহ জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন।মহান আল্লাহর কাছে কিছুর অভাব নেই। সৎ চরিত্রের জন্য আপনি যদি মহান আল্লাহর কাছে আপনার জীবনের অর্ধেক দিন পূর্ণ করতে চান। তাহলে আল্লাহ অবশ্যই আপনাদের মনের আশা পূরণ করবেন। এ ক্ষেত্রে আল্লাহর শেখানো দোয়াটাই বেশি বেশি পড়া উচিত। দোয়াটি হলো: رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا (উচ্চারণ: রব্বানা হাব লানা মিন আজওয়াজিনা ওয়া জুররিয়্যাতিনা কুররাতা আ’ইউন, ওয়া জাআলনা লিল মুত্তাকিনা ইমামা।)  অর্থ: হে আমাদের রব, আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান করুন, যারা আমাদের চোখ শীতলকারী হবে। আমাদের আল্লাহভীরুদের জন্য আদর্শ করুন। (সুরা ফুরকান: ৭৪) আরও পড়ুন: যে কারণে ৩ শ্রেণির নামাজি জাহান্নামে যাবে কেউ যদি বিয়ের মাধ্যমে পবিত্র জীবন যাপন করার উদ্দেশ্যে বিয়ে করতে আগ্রহী হয়, তবে সে মহান আল্লাহর সাহায্য পাবে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,  মহান আল্লাহ তিন প্রকার মানুষকে সাহায্য করা নিজের কর্তব্য হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। মহান আল্লাহর পথে জিহাদকারী, মুকাতাব গোলাম-- যে চুক্তির অর্থ পরিশোধের ইচ্ছা করে এবং বিয়েতে আগ্রহী ব্যক্তি-- যে বিয়ের মাধ্যমে পবিত্র জীবন যাপন করতে চায়। (তিরমিজি: ১৬৫৫) সমাজের একটি সমস্যা হলো ক্যারিয়ার গঠনের ধোঁয়াশায় পড়ে যথাসময়ে বিয়ে না করা। এভাবে বয়স বেড়ে যায়, বিয়ে করা কঠিন হয়ে যায়। তখনই হতাশা আর ধোঁয়াশায় জীবন অতিষ্ট হয়ে ওঠে। নানা অপকর্মেও জড়িয়ে পড়ে মানুষ। কোরআনের কয়েকটি আয়াত নিয়মিত পাঠে মহান আল্লাহর ইচ্ছায় এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। فَإِن تَوَلَّوْاْ فَقُلْ حَسْبِيَ اللّهُ لا إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ (উচ্চারণ: ফাইং তাওয়াল্লাও ফাকুল হাসবিয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহুয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম।)  অর্থ: এ সত্ত্বেও যদি তারা বিমুখ হয়ে থাকে, তবে বলে দাও, আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত আর কারও বন্দেগি নেই। আমি তাঁরই ভরসা করি এবং তিনিই মহান আরশের অধিপতি। (সুরা তাওবা: ১২৯) আরও পড়ুন: দাফনের পর সম্মিলিত দোয়া, কী বলে ইসলাম? হজরত মুসা (আ.) যখন খুব একাকি ও বিষণ্নতা অনুভব করতেন তখন তিনি এ আয়াতটি বেশি বেশি পাঠ করতেন। দ্রুত বিয়ের ক্ষেত্রে এ আয়াতের আমলটিও করতে পারেন:  فَسَقَى لَهُمَا ثُمَّ تَوَلَّى إِلَى الظِّلِّ فَقَالَ رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ (উচ্চারণ: ফাসাক্বা লাহুমা ছুম্মা তাওয়াল্লা ইলাজজিল্লি ফাক্বালা রাব্বি ইন্নি লিমা আংযালতা ইলাইয়্যা মিন খায়রিং ফাক্বির।) অর্থ: মুসা তখন তাদের পক্ষে জানোয়ারগুলোকে পানি পান করালেন। তারপর তিনি ছায়ার নীচে আশ্রয় গ্রহন করে বললেন, হে আমার রব! আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ করবেন আমি তার কাঙ্গাল। (সুরা কাসাস: ২৪)