যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার তেলবাহী জাহাজে অবরোধ আরোপ করার পর দেশটির পাশে থাকার কথা জানিয়েছে চীন। তবে কী ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে সে বিষয়ে চীন স্পষ্ট কিছু জানায়নি। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ফোনে ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভান গিলের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি একতরফা চাপ ও হয়রানির বিরোধিতা করেন এবং দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষার পক্ষে চীনের অবস্থানের কথা জানান। তবে বিবৃতিতে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র বা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করা হয়নি। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানি বন্ধ করতে নিষেধাজ্ঞাভুক্ত সব ট্যাংকারে পূর্ণ অবরোধের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ওই অঞ্চলে মার্কিন সেনা ও যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, সন্ত্রাসবাদ, মাদক পাচার ও মানব পাচার দমনের অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। চীন বর্তমানে ভেনেজুয়েলার সবচেয়ে বড় তেল ক্রেতা। বিশ্লেষকদের মতে, চীনের মোট তেল আমদানির প্রায় ৪ শতাংশ আসে ভেনেজুয়েলা থেকে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আসলে তার দেশের তেল সম্পদ দখল করতে চায় এবং তাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর লক্ষ্যেই এই সামরিক চাপ সৃষ্টি করছে। ট্রাম্পও এক সাক্ষাৎকারে বলেন, মাদুরোর দিন ফুরিয়ে আসছে। এর আগে তেলের বিনিময়ে ঋণ চুক্তির মাধ্যমে চীন ভেনেজুয়েলাকে বড় অঙ্কের আর্থিক সহায়তা দিয়েছিল। চলতি বছর মস্কোয় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে মাদুরো বাণিজ্য ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে একই সময়ে চীন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্থিতিশীল রাখার চেষ্টাও করছে, কারণ যুক্তরাষ্ট্র চীনের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। দীর্ঘদিন ধরে চলা বাণিজ্য ও শুল্ক বিরোধের পর দুই দেশের সম্পর্ক এখনো স্পর্শকাতর অবস্থায় রয়েছে। এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। সে সময় মাদুরো সরকারের নীতির প্রতি সমর্থন জানান পুতিন। সূত্র: রয়টার্স এমএসএম