অবৈধ অভিবাসী নিয়োগের বড় সিন্ডিকেট শনাক্ত, বাংলাদেশিসহ আটক ৩৫৬

মালয়েশিয়ার জোহর বাহরু (জেবি) এলাকায় একটি কম্পিউটার যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানায় বড় ধরনের অভিযান চালিয়েছে জোহর ইমিগ্রেশন বিভাগ। এ অভিযানে ‘সুপরিকল্পিতভাবে’ অবৈধ অভিবাসী নিয়োগের অভিযোগে ২৬ বাংলাদেশিসহ মোট ৩৫৬ জন বিদেশি শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। কারখানার দুই স্থানীয় মানবসম্পদ কর্মকর্তাকেও গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) জোহর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রুশদি মোহাম্মদ দারুস এক বিবৃতিতে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিবৃতিতে জানানো হয়, বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জোহর বাহরুর তেবরাউ শিল্প এলাকার একটি কারখানায় এই বিশেষ অভিযান চালানো হয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ইমিগ্রেশন বিভাগ জানতে পারে, প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে বিপুল সংখ্যক অবৈধ অভিবাসীকে কাজ দিয়ে আসছিল। অভিযান শুরুর পরপরই শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং অনেকে পালানোর চেষ্টা করেন। তবে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা কারখানার সব প্রবেশপথ আগেই ঘিরে রাখায় পালানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়। আটক ৩৫৬ জনের মধ্যে বেশিরভাগই মিয়ানমারের নাগরিক। তাদের বয়স ১৮ থেকে ৪৬ বছরের মধ্যে। জাতীয়তা অনুযায়ী আটকদের মধ্যে মিয়ানমারের ২৯৯, বাংলাদেশের ২৬, ভারতের ২২, ইন্দোনেশিয়ার ৩, নেপালের ২, পাকিস্তান ও ফিলিপিন্সের ১ জন করে নাগরিক রয়েছেন।  আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় ‘আফ্রিকান কলোনিতে’ অভিযানে বাংলাদেশিসহ আটক ৯০ অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকার অভিযোগে কারখানার দু’জন স্থানীয় মালয় কর্মকর্তাকেও আটক করা হয়েছে। তারা ওই প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগে কর্মরত ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। জোহর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রুশদি জানান, অধিক মুনাফার লোভে অভিবাসন আইন অমান্য করে এই শ্রমিকদের নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘লাভের জন্য যারা অভিবাসন আইন লঙ্ঘন করে অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ দিচ্ছে, তাদের সাথে কোনো আপস করা হবে না। জোহর রাজ্যে এই অবৈধ কর্মসংস্থান চক্র ভেঙে দিতে আমাদের কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে।' আটকদের পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য সেয়া ট্রপিকা ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।