তারেক রহমানকে অভ্যর্থনা দিতে স্থান যাচাই-বাছাই চলছে: সালাহউদ্দিন

সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে আসছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তার এই প্রত্যাবর্তনকে বিশেষভাবে অভ্যর্থনা জানাতে চায় বিএনপি। এজন্য চলছে অভ্যর্থনার স্থান যাচাই-বাছাইয়ের কাজ।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এই কথা জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।     তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে অভ্যর্থনা টিমের সদস্য ও নিরাপত্তা প্রধানকে নিয়ে বিমানবন্দরে বৈঠক হয়েছে। মূলত তিনি বিমানবন্দর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে কীভাবে আসবেন সে বিষয়ে কথা হয়েছে।’ এছাড়া পুরো সড়কপথের নিরাপত্তা ও অন্যান্য বিষয়ে সরকারের সঙ্গেও বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। তিনি বলেন, ‘এখন অভ্যর্থনার জায়গাগুলো যাচাই-বাছাই চলছে।’ এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সমাবেশ করতে গেলে যে উপস্থিতি হবে, সেটা হবে ঐতিহাসিক। সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য কমিটির সদস্যরা আপ্রাণ কাজ করছেন।’ সূত্রে জানা যায়, লন্ডন সময় ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশে বিমানের ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন তারেক রহমান। বাংলাদেশ সময় ২৫ ডিসেম্বর সকালে ঢাকার মাটিতে পা রাখতে পারেন ১৭ বছর নির্বাসিত থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। আরও পড়ুন: বেগম জিয়ার সবশেষ শারীরিক অবস্থা জানালেন ডা. জাহিদ এদিকে, তারেক রহমানের সঙ্গে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে তার একমাত্র সন্তান ব্যারিস্টার জাইমা রহমানেরও। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার খোঁজ খবর রাখতে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। বিএনপি থেকে জানানো হয়েছে, তারেক রহমানের জন্য গুলশান এভিনিউর ১৯৬ নম্বর বাড়িটি প্রায় প্রস্তুত হয়ে গেছে। কোনো কারণে পুরোপুরি প্রস্তুত না হলে পাশেই মায়ের ভাড়া বাসা ফিরোজায় উঠবেন তিনি। দেশে ফিরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে অফিস করবেন তারেক রহমান। এ লক্ষ্যে ৮৬ নম্বরের রোডের কার্যালয়ে নিরাপত্তা বাড়ানোসহ সংস্কার কাজও প্রায় শেষ।