কম্বোডিয়ার ‘ক্যাসিনো’ নগরীতে থাইল্যান্ডের বিমান হামলা

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী ‘ক্যাসিনো’ নগরী নামে পরিচিত পোইপেতে বিমান থেকে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে একটি প্রধান স্থল সীমান্ত পারাপার কেন্দ্র পোইপেত শহর। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল প্রায় ১১টার দিকে পোইপেত পৌর এলাকায় বিমান থেকে দুটি বোমা নিক্ষেপ করে থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনী। পোইপেত দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বানতেয় মিঞ্চে প্রদেশে অবস্থিত। তবে থাইল্যান্ড এখন পর্যন্ত এ হামলার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি। তবে পোইপেত শহরটি থাইল্যান্ডের জুয়াড়িদের কাছে জনপ্রিয় একটি ক্যাসিনো কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। কম্বোডিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, থাইল্যান্ডের হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে চারটি ক্যাসিনো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চলতি মাসে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে থাইল্যান্ডে অন্তত ২১ জন এবং কম্বোডিয়ায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া সংঘাতের কারণে প্রায় ৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। থাইল্যান্ড জানিয়েছে, কম্বোডিয়া সীমান্ত পারাপার বন্ধ করে দেওয়ায় পোইপেতে এখনো ৫ থেকে ৬ হাজার থাই নাগরিক আটকে রয়েছেন। গত জুলাইয়ে কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে টানা পাঁচ দিনের সংঘর্ষে বহু মানুষ নিহত হয়। পরে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতি হলেও তা কয়েক মাসের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে দাবি করেছিলেন, দুই দেশ একটি নতুন যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তবে থাইল্যান্ড সরকার এই দাবি অস্বীকার করেছে। সীমান্তে সাম্প্রতিক এক সংঘর্ষের পর থেকে প্রতিদিনই গোলাবর্ষণ, ট্যাংক, ড্রোন ও যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে লড়াই চলছে। এই সংঘাতের মূল কারণ হলো ঔপনিবেশিক আমলে নির্ধারিত প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত নিয়ে বিরোধ এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত কিছু প্রাচীন মন্দিরের মালিকানা।আরও পড়ুন>>শতাব্দীপ্রাচীন যেসব মন্দিরের মালিকানা নিয়ে সীমান্তে সংঘর্ষ উভয় দেশই নতুন করে সংঘর্ষ শুরুর জন্য একে অপরকে দায়ী করছে এবং আত্মরক্ষার দাবি জানাচ্ছে। একই সঙ্গে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার অভিযোগও পাল্টাপাল্টি করা হচ্ছে। এদিকে চীন জানিয়েছে, শান্তি পুনঃস্থাপন ও দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব কমাতে তারা এশীয় বিষয়ক বিশেষ দূতকে কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডে পাঠাচ্ছে। সূত্র : আল-জাজিরা কেএম