তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের

নতুন এক চুক্তির আওতায় তাইওয়ানের কাছে এবার ১১.১ বিলয়ন (১ হাজার ১১০ কোটি) ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এশিয়ার দ্বীপ দেশটির জন্য এটা যুক্তরাষ্ট্রের এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় অস্ত্র প্যাকেজ। খবর রয়টার্সের।চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক চাপের মুখে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি অনুমোন করে। যা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার পর তাইওয়ানের কাছে ট্রাম্প প্রশাসনের অস্ত্র বিক্রির দ্বিতীয় বড় ঘটনা এটি। এর আগে তাইওয়ান নিয়ে চীন ও জাপানের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যে গত ১৩ নভেম্বর তাইওয়ানের কাছে ৩৩ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির প্রাথমিক অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন জানিয়েছে, এ অস্ত্র বিক্রির মূল উদ্দেশ্য হলো তাইওয়ানের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকায়ন ও তাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদার করা। যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শে তাইওয়ান তার সশস্ত্র বাহিনীকে গেরিলা যুদ্ধের সক্ষমতা সম্পন্ন করে গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। আরও পড়ুন: সিরিয়ার ওপর আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রস্তাবিত অস্ত্র বিক্রি চুক্তির আওতায় আট ধরনের অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র সরবরাহ করবে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো অত্যাধুনিক রকেট উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা হিমার্স, হাউইটজার কামান, জ্যাভলিন ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও আত্মঘাতী ড্রোন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পর্যাপ্ত আত্মরক্ষা ও শক্তিশালীভাবে দ্রুত প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে তাইওয়ানকে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র, যা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মুখপাত্র কারেন কুও ওয়াশিংটনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘শক্তির মাধ্যমেই আমরা শান্তি রক্ষা করতে চাই এবং নিজেদের রক্ষায় আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’ গত মাসে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে এক ঘোষণায় জানান, ২০২৬ থেকে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত চলার জন্য ৪০ বিলিয়ন (৪ হাজার কোটি) ডলারের অতিরিক্ত প্রতিরক্ষা বাজেট অনুমোদিত হবে। জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ছাড় নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আরও পড়ুন: হঠাৎ কেন পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন এফবিআই উপপরিচালক? তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ বলে দাবি করে চীন। এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রায়ই দ্বীপটি ঘিরে সামরিক মহড়া চালায় বেইজিং। গত কয়েক বছরে তাদের এ তৎপরতা বেড়েছে। এ সময় দফায় দফায় তাইওয়ান ঘিরে যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে দেশটি। তবে চীনের দাবি মানতে নারাজ তাইওয়ান। নিজেদের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে দ্বীপটি।