কক্সবাজারের রামুতে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির কাছে পাচারের সময় সীমান্তগামী একটি মিনিট্রাক থেকে ভারী আগ্নেয়াস্ত্রের ম্যাগজিন রাখার ১ হাজার ৬০০ ‘প্রসেস’সহ (ম্যাগজিন রাখার সরঞ্জাম) তিন পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া। আটকরা হলেন: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের কম্বনিয়া এলাকার নুরুল আলমের ছেলে মো. শাহজাহান (২৫), একই ইউনিয়নের আশারতলী এলাকার মো. বদিউজ্জামানের ছেলে মো. ইলিয়াস (১৯) ও ঘিলাতলী এলাকার এম এ সামাদের ছেলে আতিকুর রহমান (২৫)। ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, বুধবার মধ্যরাতে রামুর জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের চা-বাগান এলাকা দিয়ে যানবাহনযোগে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠীর কাছে আগ্নেয়াস্ত্রের সরঞ্জাম পাচার হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে নামে পুলিশ। রামুর চা-বাগান এলাকায় ‘আল মদিনা’ রেস্তোরাঁর সামনে রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কে পুলিশের একটি অস্থায়ী তল্লাশি চৌকি বসানো হয়। আরও পড়ুন: এবার দুটি ট্রলারসহ ১২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেলো আরাকান আর্মি একপর্যায়ে চট্টগ্রাম দিক থেকে আসা নাইক্ষ্যংছড়িগামী একটি মিনিট্রাক সেখানে পৌঁছালে থামার নির্দেশ দেয় পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গাড়িতে থাকা সন্দেহভাজন তিনজন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া দিয়ে তাদের আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। তিনি আরও জানান, পরে মিনিট্রাকটিতে তল্লাশি চালিয়ে প্লাস্টিকের সাদা চটের ৩২টি ছোট বস্তা উদ্ধার করা হয়। বস্তাগুলো খুলে পাওয়া যায় ভারী আগ্নেয়াস্ত্রের ম্যাগজিন রাখার ১ হাজার ৬০০ ‘প্রসেস’ বা ‘বাউন্ডলি’। এসময় পাচারকাজে ব্যবহৃত মিনিট্রাকটি জব্দ করা হয়। ওসি বলেন, ‘আটকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, উদ্ধার করা ম্যাগজিন রাখার প্রসেসগুলো নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দিতে নিয়ে যাচ্ছিল তারা।’ আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে রামু থানায় মামলা করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।