ফিলিপের হয়ে সীমান্ত পারাপারের কাজটি করেন সিবিয়ন ও সঞ্জয়

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হামলাকারীদের দেশত্যাগে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার সিবিয়ন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম জানিয়েছেন, ফিলিপ নামের একজনের হয়ে তারা সীমান্ত পারাপারের কাজটি করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালতে রিমান্ড শুনানিতে তারা এ কথা বলেন। এসময় বিচারক তাদের তিনদিন করে পুলিশি রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি রিমান্ডে থাকা অবস্থায় তদন্তে পুলিশকে সহযোগিতা করতে আসামিদের নির্দেশ দেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পল্টন থানায় করা মামলায় গ্রেফতার হন সিবিয়ন (৩২) ও সঞ্জয়। আজ তাদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) মতিঝিল আঞ্চলিক টিমের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ। শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আসামিদের সঙ্গে মামলার অপরাধের সরাসরি সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে। তাদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে। এসময় আদালতে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। তখন বিচারক তাদের কিছু বলার আছে কি না জানতে চাইলে সিবিয়ন ও সঞ্জয় জানান, ফিলিপ নামের একজনের হয়ে তারা সীমান্ত পারাপারের কাজটি করেছেন। তারা ফিলিপকে চেনেন এবং তার পরিচয় ও কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গোয়েন্দা পুলিশকে দিতে প্রস্তুত বলেও আদালতকে জানান। রিমান্ড আবেদনে পুলিশ জানায়, প্রাথমিক তদন্ত ও প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে যে হামলার পর মূল অভিযুক্ত ও অজ্ঞাতপরিচয় সহযোগীদের অবৈধভাবে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে এ দুই আসামি সরাসরি সহায়তা করেছেন। তাদের মোবাইল যোগাযোগ, চলাচল ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে সংযোগের তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে। সিবিয়ন হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মানুষ ও অবৈধ মালামাল পারাপারের একটি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতেন। তিনি ওই এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য জুয়েল আড়েংয়ের ভাগনে। এমডিএএ/একিউএফ/এএসএম