বরিশালে মাত্র তিন ঘণ্টার ব্যবধানে আলাদা তিন স্থান থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে বরিশাল নগরী, উজিরপুর ও বাকেরগঞ্জ উপজেলা থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।উদ্ধার হওয়া তিনজনের মধ্যে একজন অটোরিকশাচালক, যাকে হত্যা করে গাড়ি ছিনতাই করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। বাকি দুজনের মধ্যে একজনের মরদেহ আবাসিক হোটেল থেকে এবং অপরজনের মরদেহ খাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকেরগঞ্জ: চালকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম সোহেল জানান, বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে উপজেলার কাঠেরপুল এলাকা সংলগ্ন বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের পাশ থেকে সাকিব হাওলাদার নামে এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সাকিব পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার চরবয়ড়া এলাকার জসিম হাওলাদারের ছেলে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, নিখোঁজের সময় সাকিবের সঙ্গে অটোরিকশা ছিল। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর লাশ ফেলে রেখে অটোরিকশাটি ছিনতাই করা হয়েছে। সন্তান হত্যার বিচার দাবি করেছেন পিতা জসিম হাওলাদার। ওসি জানান, মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। উজিরপুর: খাল থেকে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ অন্যদিকে বেলা সাড়ে ১১টায় জেলার উজিরপুর উপজেলার ওটরা ইউনিয়নের দেউরী বাড়ি সংলগ্ন কচা নদীর খাল থেকে আনুমানিক ৩০ বছর বয়সি অজ্ঞাত এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আরও পড়ুন: বরিশালের খালে মিলল অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মরদেহ উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয়রা খালে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। উদ্ধার হওয়া যুবকের নাম-পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’ নগরী: আবাসিক হোটেল থেকে প্রহরীর মরদেহ এছাড়া দুপুর ১২টায় বরিশাল নগরীর ফলপট্টি এলাকার আবাসিক ‘হোটেল পার্ক’ থেকে নিরাপত্তা প্রহরী আব্দুল হাকিম হাওলাদারের মরদেহ উদ্ধার করেছে মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। হোটেল স্টাফ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সেলিম বলেন, ‘আব্দুল হাকিম নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত ছিলেন। বুধবার রাতে ডিউটিরত অবস্থায় অসুস্থ বোধ করায় তিনি হোটেলের স্টাফ রুমে বিশ্রাম নিতে যান। সকালে ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেলে হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করে।’ তিনি আরও জানান, মৃতদেহের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তিনজনেরই মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।