কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডি ব্রিজ লাগোয়া পল্লন খালী খালে ভেসে আসা মোহাম্মদ কালুর (৪২) নামে আবাসিক হোটেলের এক কর্মচারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে স্থানীয়দের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সঞ্জীব কুমার পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।নিহত মোহাম্মদ কালুর ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নাপিত খালী ডুলা ফকির রাস্তার মাথা এলাকার মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে।অজ্ঞাতপরিচয়ে উদ্ধারের পর কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে নিহতের ভাই সাহাব উদ্দিন মরদেহটি শনাক্ত করেন। নিহত কালু কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলের কর্মচারী ছিলেন বলে জানান পুলিশের এই এসআই।নিহতের ভাই সাহাব উদ্দিন জানান, তার ভাই মোহাম্মদ কালু কক্সবাজার শহরের লালদীঘির পাড়ের একটি আবাসিক হোটেলে চাকরি করতেন। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কোনো কিছুই ধারণা করতে পারছেন না। কারও সঙ্গে শত্রুতা আছে এমন তথ্যও নেই।আরও পড়ুন: বরিশালের খালে মিলল অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মরদেহনিহত মোহাম্মদ কালুর স্ত্রী শাহানা জানান, বুধবার সকাল ১১টায় শেষবারের মতো কথা হয়। তখনও তিনি স্বাভাবিক ছিলেন। সকালে শুনতে পাই উনার মরদেহ খাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কি হতে কি হয়ে গেলো বুঝতে পারছি না। চাকরির সুবাদে কক্সবাজার শহরেই অবস্থান করছিলেন তিনি। বিষয়টি কালু যে হোটেলে চাকরি করতেন সে হোটেলের মালিক পক্ষ জানতে পারে, কখন কালু সেখান থেকে বেরিয়েছে, কি বলে বেরিয়েছে বা বেরিয়েছে কি না? তবে কালু যে হোটেলে চাকরি করতেন সেই হোটেলটির নাম বলতে চাননি তার স্ত্রী।খুরুস্কুল ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার জানে আলম জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে খুরুস্কুল চৌফলদন্ডি ব্রিজ লাগোয়া পল্লনখালী খালে মরদেহটি ভেসে আসে। মরদেহের পরনে ছিল লাল ও কালু রংয়ের হুডি আর কালো প্যান্ট। স্থানীয়রা জাতীয় সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে সদর থানার এসআই সঞ্জীব কুমার পালের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল মরদেহটি উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসে।এসআই সঞ্জীব কুমার পাল জানান, মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে জানা যাবে মৃত্যুর কারণ। তবে মরদেহের শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই।