সিলেটে প্রথম আলো অফিস ভাঙচুর

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন তার অনুসারীরা। এ সময় প্রথম আলোর সিলেট অফিস এবং আলপাইন রেস্তোরাঁ ভাঙচুর করা হয়েছে।শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে একটি বিক্ষোভ মিছিল থেকে নগরের বারুতখানা এলাকার দৈনিক প্রথম আলোর সিলেট আঞ্চলিক কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, তিনজন যুবক পরপর ইটপাটকেল ছুঁড়ে প্রথম আলোর অফিসে ভাঙচুর চালায়। এর আগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জুলাইযোদ্ধারা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তারা নগরীর শহিদ মিনার এবং চৌহাট্টা পয়েন্টে অবস্থান নেন। হাদীর মৃত্যুর খবরে রাত ১১টা থেকে মহানগরের চৌহাট্টায় জড়ো হতে থাকেন তারা। পরে রাত পৌনে ১২টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। মিছিলটি এক পর্যায়ে জেলরোডে অবস্থিত প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে ভাঙচুর হলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। মিছিল শেষে চৌহাট্টায় ফিরে রাত প্রায় ৩টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখেন উত্তেজিত নেতাকর্মীরা। এদিকে, হাদীর মৃত্যুর খবর জানার পরপরই চৌহাট্টাসহ সিলেট মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে ছিল। আরও পড়ুন: দুই সম্পাদকের সঙ্গে কথা বললেন প্রধান উপদেষ্টা চৌহাট্টায় বিক্ষোভকালে আন্দোলনকারীরা সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনতিবিলম্বে হাদীর খুনিদের ভারত থেকে নিয়ে এসে ফাঁসি দিতে হবে। তা না হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে।’ আন্দোলনকারীরা আরও বলেন, ‘হাদীর হত্যাকাণ্ড ভারতের প্রেসক্রিপশনে খুনি দল আওয়ামী লীগ ঘটিয়েছে, এটা স্পষ্ট। আমরা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী, বিশেষ করে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের যেখানেই পাবো, সেখানেই প্রতিরোধ করবো।’ এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিল থেকে ঢিল ছুঁড়ে প্রথম আলো কার্যালয়ের গ্লাস ও সাইনবোর্ড ভাঙচুর করা হয়। তবে কার্যালয়ের ভেতরে কেউ প্রবেশ করেনি। এছাড়া রাতে নগরের চৌহাট্টা এলাকার আলপাইন রেস্তোরাঁতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।