সেমিফাইনালে কোনোমতে একশ পার করলো বাংলাদেশ

প্রথম ইনিংস শেষে কি ম্যাচের ফল জানা যায়? যায় না। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৭ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে বাংলাদেশ ১২০ করার পরও জানা যাচ্ছে না কে জিতবে! তবে এই ইনিংস দিয়ে যুবা টাইগাররা হারের গল্প লিখে ফেললো কি না, সেই প্রসঙ্গ এসে পড়ছে।বাংলাদেশ-পাকিস্তানের এই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে। এই মাঠে এই আসরেই পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে ৩৪৫ রান করেছে। ভারত মালয়েশিয়ার বিপক্ষে করেছিল ৪০৮ রানও। যদিও দুদলই ব্যাট করেছিল পুরো ৫০ ওভার। রানরেটে বাংলাদেশ দুই দলের চেয়েই পিছিয়ে, পাকিস্তান রান তুলেছে প্রায় ৭ করে, ভারত ৮-এর বেশি করে। বাংলাদেশের রানরেট সাড়ে চারের আশপাশে।৮ নম্বরে নামা সামিউন বশিরের ইনিংস বাদ দিলে বাংলাদেশের রান একশও হয় না। ৩ বল হাতে রেখে শেষ ব্যাটার হিসেবে রানআউট হওয়া এই অলরাউন্ডার ৩৭ বলে একটি চার ও একটি ছয়ে করেন ৩৩ রান। এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চটি অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমের। ২০ রান করে ১৩ ওভারের মধ্যেই আউট হন তিনি।আরও পড়ুন: প্রথম ১২ বলে ১৪ রানে ২ উইকেট নেয়া রিশাদ তৃতীয় ওভারে খরুচেবাংলাদেশকে পাকিস্তান চাপে ফেলেছিল ৬৫ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে। খারাপ আবহওয়ার কারণে ২৭ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় যুবা টাইগাররা। ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে জাওয়াদ আবরার ৯ ও রিফাত বেগ ৬ ওভারের মধ্যেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন। মোহাম্মদ সাইয়ামের শিকার হওয়া আবরার ১৩ বলে ৯ ও আলী রাজার শিকার রিফাত ১৬ বলে ১৪ রান করেন।ওয়ানডাউনে নামা দলপতি তামিম এরপর ইনিংস মেরামত করতে থাকেন। অন্যপ্রান্তে কালাম সিদ্দিকী অলিন ধীরগতির হলেও আজিজুল ভালো কিছুর করারই আভাস দিচ্ছিলেন। বোলারের মাথার ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকানো এই বাঁহাতি আবদুল সুবহানের শিকার হন। একই ওভারে কালামও সাজঘরে ফেরেন। ২৩ বলে তিনি করেন ৮ রান।বাংলাদেশকে পরের আঘাতটিও দেন সুবহান। মো. আবদুল্লাহকে ৫ রানে তুলে নেন তিনি। শেখ পারভেজ জীবন দলীয় ৭৩, ফরিদ হাসান ৯৩, মো. সবুজ ১০৫ ও সাদ ইসলাম ১০৬ রানের মাথায় আউট হন। এদের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।