ইংলিসের বিয়ের খবরে চটে যান পাঞ্জাবের মালিক

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৯তম আসরের নিলামে লখনৌ সুপার জায়ান্টস দলে ভিড়িয়েছে জশ ইংলিসকে। ৮.৬ কোটি ভারতীয় রূপিতে তাকে দলে নিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। তবে পুরো মৌসুমের জন্য তাকে পাচ্ছে না লখনৌ। আগামী বছরের এপ্রিলের শুরুতে বিয়ে করতে যাচ্ছে ইংলিস। এই কারণে পুরো মৌসুমের জন্য থাকা হচ্ছে না তার আইপিএলে। ১৯তম আসর শুরু হবে আগামী মার্চের ২৬ তারিখ ও চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। এবিসি স্পোর্টকে ইংলিস বলেন, ‘আমি নিলাম কিছুটা দেখেছি। ক্রমেই অগ্রাধিকার তালিকায় একটু নিচে চলে যাচ্ছিলাম। এই মৌসুমে আমাকে পুরোপুরি পাওয়া যাবে না। এপ্রিলের শুরুতে আমার বিয়ে। তাই সত্যি বলতে আমি নিলামে নাম দেওয়ার ব্যাপারে খুব একটা আশা করিনি। প্রথমবার যখন আমার নাম অবিক্রিত গেল, তখন ভাবলাম “ঠিক আছে, বাদ দিই, আমি ঘুমোতে যাচ্ছি” কারণ পরের দিন (অ্যাশেজের জন্য) প্রস্তুত হতে হবে। এরপর সকালে উঠে দেখি অনেক মেসেজ—সেখান থেকেই খবরটা জানতে পারি।’ গত আসরে পাঞ্জাব কিংসে খেলেছিল জশ ইংলিস। কিন্তু পুরো মৌসুমে থাকতে পারবেন না বলে তাকে ছেড়ে দেয় পাঞ্জাব। যদিও তাকে ধরে রাখার পরিকল্পাই ছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটির। রিটেনশনের ডেডলাইন শেষ হওয়ার ৪৫ মিনিট আগে ইংলিস জানান যে তিনি পুরো মৌসুমে থাকতে পারবেন না। পাঞ্জাবের সহ-স্বত্বাধিকারী নেস ওয়াদিয়া কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আসলে আমরা জশকে ছেড়ে দিইনি। দুর্ভাগ্যজনক এবং দুঃখের বিষয় হলো, সে একেবারে শেষ মুহূর্তে আমাদের জানিয়েছে, যা মোটেও ন্যায্য ছিল না। বিশেষ করে সে যেহেতু দীর্ঘদিন আমাদের সঙ্গে ছিল। রিটেনশন কখন হবে, সেটা সবাই জানতো। অথচ ডেডলাইনের মাত্র ৪৫ মিনিট আগে সে আমাদের জানায় যে তার বিয়ে আছে এবং বিশ্রাম ও সবকিছু সামালের জন্য সময় দরকার। সে বলেছিল, তাকে মাত্র কয়েক সপ্তাহের (৩ ম্যাচ) জন্যই পাওয়া যাবে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘আমরা তাকে বলেছিলাম, এ কথা আগে জানানো উচিত ছিল। আমি মনে করি না এটা পেশাদার আচরণ। যখন একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে, তখন শেষ মুহূর্তে ফোন করে বলা “আমি আসছি না” এটা মোটেও পেশাদারিত্বের পরিচয় নয়, বিশেষ করে যখন সে জানতো আমরা তাকে ধরে রাখছি।’ আইপিএলে নিজের প্রথম মৌসুমে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে ইংলিস দলের ব্যাটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ১১ ইনিংসে ৩.০.৮৮ গড় ও ১৬২.৫৭ স্ট্রাইক রেটে তার ব্যাটে আসে ২৭৮ রান। মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে ৪২ বলে ৭৩ রান জয়সূচক ইনিংসটি স্মরণীয়। আইএন