বাংলাদেশের কপালে প্রথম ইনিংস শেষেই একপ্রকার হার লেখা হয়ে যায়! ২৭ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ১২১ রান করে অলআউট হয় আজিজুল হক তামিম বাহিনী। ছোট এই সংগ্রহ ডিফেন্ড করতে বোলারদের জাদুকরী কিছু করতে হতো, সেটা হয়নি। তাদের একপ্রকার উড়িয়ে দিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে পাকিস্তান।দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে ১২২ রানের লক্ষ্য পাকিস্তান পেরিয়েছে ৬৩ বল হাতে রেখে। তাদের জয় ৮ উইকেটে, দাপুটে। দুটি উইকেটের একটি ইকবাল হোসেন ইমন ও অন্যটি সামিউন বশির নিয়েছিলেন। পাকিস্তানের হয়ে সামির মিনহাজ ৬৯, উসমান খান ২৭ ও আহমেদ হুসাইন ১১ রান করেন।২১ ডিসেম্বরের ফাইনালে পাকিস্তান মুখোমুখি হবে ভারতের। ভারত শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে।বাংলাদেশ অনেক কষ্টে ১২১ রান তুলেছিল। ৮ নম্বরে নামা সামিউন বশিরের ইনিংস বাদ দিলে এই রানও হয় না। ৩ বল হাতে রেখে শেষ ব্যাটার হিসেবে রানআউট হওয়া এই অলরাউন্ডার ৩৭ বলে একটি চার ও একটি ছয়ে করেন ৩৩ রান। এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চটি অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমের। ২০ রান করে ১৩ ওভারের মধ্যেই আউট হন তিনি।আরও পড়ুন: আইপিএল চলাকালীন মোস্তাফিজ শুধু ৮ দিনের জন্য বাংলাদেশেরবাংলাদেশকে পাকিস্তান চাপে ফেলেছিল ৬৫ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে। ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া বাংলাদেশের পক্ষে ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে জাওয়াদ আবরার ৯ ও রিফাত বেগ ৬ ওভারের মধ্যেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন। মোহাম্মদ সাইয়ামের শিকার হওয়া আবরার ১৩ বলে ৯ ও আলী রাজার শিকার রিফাত ১৬ বলে ১৪ রান করেন।ওয়ানডাউনে নামা দলপতি তামিম এরপর ইনিংস মেরামত করতে থাকেন। অন্যপ্রান্তে কালাম সিদ্দিকী অলিন ধীরগতির হলেও আজিজুল ভালো কিছুর করারই আভাস দিচ্ছিলেন। বোলারের মাথার ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকানো এই বাঁহাতি আবদুল সুবহানের শিকার হন। একই ওভারে কালামও সাজঘরে ফেরেন। ২৩ বলে তিনি করেন ৮ রান। বাংলাদেশকে পরের আঘাতটিও দেন সুবহান। মো. আবদুল্লাহকে ৫ রানে তুলে নেন তিনি। শেখ পারভেজ জীবন দলীয় ৭৩, ফরিদ হাসান ৯৩, মো. সবুজ ১০৫ ও সাদ ইসলাম ১০৬ রানের মাথায় আউট হন। এদের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।