ছাত্রলীগ নেতাকে ধরিয়ে দিতে বৈষম্যবিরোধী নেতার পুরস্কার ঘোষণা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ ও উসকানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতা। অভিযুক্ত ওই নেতার নাম আরাফাত হোসেন সোহাগ। তিনি চিলমারী উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং উপজেলার রমনা সরকার বাড়ি এলাকার সুজা মিয়ার ছেলে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ১৩ ও ১৫ ডিসেম্বর ছাত্রলীগ নেতা আরাফাত হোসেন সোহাগ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে দুটি পোস্ট করেন। পোস্ট দুটিকে কেন্দ্র করে অনেকেই কুরুচিপূর্ণ ও উসকানিমূলক বলে অভিযোগ তুলেছেন। পোস্ট দুটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুড়িগ্রাম জেলা শাখার যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুর রহমান পারভেজ ঘোষণা দেন, আরাফাত হোসেন সোহাগকে ধরিয়ে দিতে পারলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। এ-সংক্রান্ত একটি পোস্টে আব্দুর রহমান পারভেজ বলেন, ‘একজন রাজনৈতিক কর্মীর ওপর হামলার মতো স্পর্শকাতর ঘটনার পর কেউ যদি কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে উসকানি দেয়, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সমাজে ভুল বার্তা ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে এবং আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আমরা তাকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেছি।’ অভিযুক্ত আরাফাত হোসেন সোহাগের এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্ট দুটি এখনো দৃশ্যমান রয়েছে। এ বিষয়ে চিলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া মন্তব্য ও সার্বিক পরিস্থিতি পুলিশ নজরদারিতে রেখেছে। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রোকনুজ্জামান মানু/এসআর/এএসএম