আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠে-ঘাটে চষে বেড়িয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। দলীয় প্রতীক ধানের শীষের পক্ষে ভোট টানতে মানুষের দুয়ারেও ছুটে গেছেন কর্মীরা। মাঝে খানিক সময়ের জন্য হঠাৎই ছন্দপতন।দলীয় প্রধান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতায় ভাটা পড়ে সেই সব কর্মসূচিতে। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সুস্থতা কামনায় সারাদেশে শুরু হয় দোয়া মোনাজাত কর্মসূচি। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের আভাসে তফসিলের আগেই সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বেশির ভাগ দল। দুদফায় ২৭৩টি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। এবার তফসিল ঘোষণার পর আবারও নির্বাচনমুখী ধানের শীষের প্রার্থী সমর্থকরা। এরইমধ্যে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার সংবাদে খুশির জোয়ার বইছে নেতাকর্মীদের মাঝে। বিএনপি নেতারা বলছেন, ঢালাওভাবে প্রচারণা না হলেও বেগম জিয়ার সুস্থতায় দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টায় ছিলেন প্রার্থীরা। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, ‘প্রিয় নেত্রীর সুস্থতা কামনায় আমরা দোয়া মাহফিল করছি। পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে বিএনপি যাতে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জয়ী হতে পারে, সরকার গঠন করতে পারে, সেই কর্মপরিকল্পনা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।’ আরও পড়ুন: ট্রাভেল পাসের জন্য আবেদন করলেন তারেক রহমান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শূন্যতা আমাদের সবসময় থাকবে। আমরা সব সময় তাকে অনুভব করি। যতই উনি সুস্থ হয়ে আসুক, ঠিক আগের মতো তিনি মাঠে আসতে পারছেন না। এখন সেটা করতে হবে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে।’ দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘বেগম জিয়ার অসুস্থতায় পুরো জাতি থমকে গেছে। মানুষেরতো শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে পারে। এর কারণে জাতীয় কোনো কর্মসূচি বন্ধ হবে তার তো কোনো কারণ নাই। নির্বাচন চলবে, প্রচারাণাও চলবে।’ আওয়ামী লীগ-বিহীন নির্বাচনকেও সহজভাবে নিচ্ছে না বিএনপি বরং ধর্মীয় দলগুলোর জোটকে ভোটের মাঠে শক্তভাবে মোকাবিলায় প্রস্তত বলে জানান নেতারা।