হাদি হত্যার বিচার চেয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ছাত্রদলের স্মারকলিপি

জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও হত্যাকারীদের গ্রেফতারে ব্যর্থতা বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। একইসঙ্গে ফ্যাসিবাদবিরোধী ও গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে হাদি হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবার বিচারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর কাছে এ সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপি জমা দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পক্ষ থেকে।এ স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পক্ষ থেকে  নিবেদন এই যে, শহীদ ওসমান বিন হাদি একজন আপসহীন তরুণ নেতা ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সাংস্কৃতিক সংগ্রামের অগ্রপথিক। তিনি ফ্যাসিস্টদের পরিকল্পনায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডের পূর্বপ্রস্তুতি ও ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর উদ্যোগের অভাব, যোগ্যতার ঘাটতি, আন্তরিকতার অভাব এবং ঘটনার পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও হত্যাকারী ও নেপথ্যের কুশীলবদের গ্রেফতারে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।এই নির্মম হত্যাকাণ্ড শুধু একটি ব্যক্তির জীবন কেড়ে নেয়া নয়; এটি ফ্যাসিবাদবিরোধী কণ্ঠরোধের এক ভয়ংকর দৃষ্টান্ত, যা গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে। বিশেষত ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-যুব ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের নিরাপত্তা আজ চরম অনিশ্চয়তার মুখে।আরও পড়ুন: শহীদ ওসমান হাদিকে হত্যার দায় সরকারকে নিতে হবে: রুমিন ফারহানাএ প্রেক্ষিতে আমরা নিম্নোক্ত দাবিসমূহ জোরালোভাবে উত্থাপন করছি—১) শহীদ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত হত্যাকারী, পরিকল্পনাকারী ও মদদদাতাসহ সকলকে দ্রুত শনাক্ত করে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আওতায় আনতে হবে;২) হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র ও সংশ্লিষ্টদের  অবহেলা খতিয়ে দেখতে একটি নিরপেক্ষ  তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে;৩) ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন এবং গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;৪) ভবিষ্যতে এ ধরনের রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড রোধে গোয়েন্দা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জবাবদিহিতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।আমরা বিশ্বাস করি, আইনের শাসন ও নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। উক্ত দাবিসমূহ দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে শহীদ ওসমান বিন হাদির আত্মত্যাগের প্রতি ন্যূনতম সম্মান প্রদর্শন করা হবে এবং জনগণের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।