পশ্চিমারা রাশিয়ার স্বার্থকে সম্মান করলেই কেবল ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হবে বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে কিয়েভের পশ্চিমা মিত্ররা শান্তি প্রক্রিয়ায় বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। জব্দ করা সম্পদ নিয়েও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সতর্ক করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। বলেছেন, জব্দ করা সম্পদ ফেরত দিতেই হবে।শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক টিভি প্রোগ্রামে হাজির হন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই প্রোগ্রামে তার দেয়া বক্তব্যে উঠে আসে ইউক্রেন যুদ্ধ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ও যুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূমিকা। পুতিন বলেন, পশ্চিমারা যদি রাশিয়ার স্বার্থকে সম্মান করে, তবেই বন্ধ হবে ইউক্রেনে যুদ্ধ। তবে কিয়েভের পশ্চিমা মিত্ররা শান্তি প্রক্রিয়ায় বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবকে 'গুরুত্বপূর্ণ চেষ্টা' হিসেবে আখ্যা দেন পুতিন। পুতিন আরও জানান, ইউক্রেনে নির্বাচন হলে সেদিন শর্তসাপেক্ষ হামলা বন্ধের প্রস্তাব দেন পুতিন। শর্ত হিসেবে রাশিয়ায় বসবাসরত ইউক্রেনীয়দের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবি তোলেন তিনি। আরও বলেন, নির্বাচন ছাড়া ইউক্রেন সরকারকে বৈধতা দেয়া সম্ভব নয়। এসময়, নির্বাচনকে সময়ক্ষেপণের কৌশল হিসেবে ব্যবহার না করার হুঁশিয়ারি দেন পুতিন। আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়া প্রস্তুত: পুতিন ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সতর্ক করে পুতিন বলেন, জব্দ করা রাশিয়ার সম্পদ ফেরত দিতেই হবে। এসব সম্পদ ব্যবহারের চেষ্টা আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার জন্য ক্ষতিকর। রুশ সম্পদ ব্যবহার নিয়ে ইইউর ভেতরেও বিভক্তি স্পষ্ট। এমন অবস্থায় ইউক্রেনের জন্য নতুন সামরিক অর্থায়ন নাকচ করেছেন স্লোভাক প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির জানান, স্থানীয় সময় শুক্র ও শনিবার ওয়াশিংটনে সঙ্গে কিয়েভের শান্তি আলোচনা হবে। একইসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, যুদ্ধ শেষের আলোচনা ‘সমাধানের খুব কাছাকাছি’ পৌঁছেছে। শান্তি আলোচনার মধ্যেই চলছে দুই দেশের পাল্টাপাল্টি হামলা। রাশিয়ার রোস্তভ অঞ্চলে ইউক্রেনের রাতভর ড্রোন হামলায় কার্গো জাহাজের নাবিকসহ নিহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। আরও পড়ুন: ইউক্রেনকে ৯০ বিলিয়ন ইউরো ঋণ দিতে সম্মত ইইউ পাল্টা হামলায় ইউক্রেনের ওডেসা অঞ্চলে রুশ ড্রোন হামলাত গাড়িতে থাকা এক নারী নিহত হন, আহত হয় শিশুরাও। হামলায় বিদ্যুৎ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন পাঁচটি অঞ্চলের প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার গ্রাহক।