কয়েকদিনের বিরতির পর কুড়িগ্রামে আবারও জেঁকে বসেছে হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডা। শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া ঘন কুয়াশা আর শীতল বাতাসে জেলাজুড়ে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ছয়টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময়ে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। যা শীতের অনুভূতিকে আরও তীব্র করে তুলেছে। ভোরের দিকে কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় পুরো জেলা। সকাল সাড়ে ৯টাতেও সূর্যের দেখা না মেলায় শীতের প্রকোপ কমেনি। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ, দিনমজুর ও চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। শীতের কারণে অনেকেই সকালে কাজে বের হতে পারেননি। এদিকে কুয়াশার কারণে সড়কে যান চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে যানবাহন ধীরগতিতে চলতে দেখা গেছে, ফলে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বয়োবৃদ্ধ মেনতাজ আলী বলেন, কয়েকদিন তেমন ঠান্ডা ছিল না। আবার আজ হঠাৎ করে শীতল বাতাস আর ঠান্ডা শুরু হয়েছে। এতে করে অনেকটা সমস্যায় পড়েছি। বিশেষ করে বাতাসের কারণে জনজীবন কাহিল করে হয়ে যাচ্ছে। কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, ১৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলেও ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীতের প্রকোপটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। যা আগামী ঠান্ডার প্রকোপ কিছুটা থাকবে বলে জানান তিনি। রোকনুজ্জামান মানু/কেএইচকে/এএসএম